তালিবান কারা? আফগানিস্তানের জঙ্গি শাসকদের কথা

নিউজ ডেস্ক: তালিবান আসলে কারা? কীভাবে এই গোষ্ঠীর উত্থান ঘটে আফগানিস্তানে? এক নজরে জেনে নিন। পশতু ভাষায় তালিবান মানে ছাত্র।আফগানিস্তানে ১৯৮০-৯০ দশকে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের…

নিউজ ডেস্ক: তালিবান আসলে কারা? কীভাবে এই গোষ্ঠীর উত্থান ঘটে আফগানিস্তানে? এক নজরে জেনে নিন।
পশতু ভাষায় তালিবান মানে ছাত্র।আফগানিস্তানে ১৯৮০-৯০ দশকে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণ।সোভিয়েত হটাতে আমেরিকার মদতে মুজাহিদিন বাহিনি যুদ্ধ শুরু করে। শুরু হয় বিখ্যাত আফগান গৃহযুদ্ধ।
১৯৯০ দশক। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয়। সেই সময় উত্তর পাকিস্তানে তালিবান সশস্ত্র সংগঠনের জন্ম।

সোভিয়েত বিরোধী কট্টর সুন্নী মতাদর্শের ইসলামই প্রচার করত তালিবান।
সোভিয়েত পতনের পর আফগানভূমি থেকে সরে যায় লাল ফৌজ।
পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান খুব দ্রুত প্রভাবশালী হয় তালিবান।

শুরু হয় তালিবানের কাবুল দখল অভিযান। সোভিয়েত মদতের আফগান সরকারের পতন হয়।
১৯৯৬ সালে তালিবান দখল করে কাবুল। প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাজিবুল্লাহকে খুন করে ঝুলিয়ে দেয়।
১৯৯৬-২০০১ তালিবান সরকার চলে আফগানিস্তানে।

প্রকাশ্যে মহিলাদের মাথা কাটা, গণহত্যার ও গণধর্ষণ শুরু করে তালিবান।
বিবিসি জানাচ্ছে,তালিবান দুর্নীতি দমনে সাফল্যে দেখিয়েছিল। ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ করে দিয়েছিল। তবে তালিবানের নৃশংসতা সবকিছু ছাপিয়ে যায়।

২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আল কায়েদা হামলা করে।
আল কায়েদা জঙ্গি সংগঠনটির নেতা লাদেনের সঙ্গে সখ্যতা তালিবানের।
আল কায়েদা ও তালিবান সম্পর্কের কারণে আমেরিকা সরাসরি আফগানিস্তানে সেনা পাঠায়।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট সেনার হামলায় ২০০১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তালিবান সরকারের পতন ঘটে।
২০০১-২০২১ টানা কুড়ি বছর আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রক আমেরিকা।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকাএবং তালিবানের মধ্যে শান্তি চুক্তি হয় কাতারে।
চুক্তি অনুযায়ী আমেরিকান সেনা সরতে শুরু করে। গত ১৫ আগস্ট তালিবান দখল করে কাবুল।
৩১ আগস্ট সম্পূর্ণ চলে গেলে আমেরিকান সেনা। আফগানিস্তানে দ্বিতীয়বার তালিবান সরকার গড়ছে।