যেখানে এক পুরুষের একাধিক প্রেমিকা থাকা বাধ্যতামূলক! যাবেন নাকি ?

ভাবুন তো আপনি রাস্তায় চলতে চলতে মুচকি হেসে কোনো মহিলার সঙ্গে কথা বলছেন, সেটা আপনার প্রেমিকা দেখে ফেললো। কিংবা আপনাকে হয়তো আপনার প্রাক্তন গার্লফ্রেন্ড ফোন…

ভাবুন তো আপনি রাস্তায় চলতে চলতে মুচকি হেসে কোনো মহিলার সঙ্গে কথা বলছেন, সেটা আপনার প্রেমিকা দেখে ফেললো। কিংবা আপনাকে হয়তো আপনার প্রাক্তন গার্লফ্রেন্ড ফোন করল। তারপর যেটা হবে আমরা একটু-আধটু আঁচ করতে পারলেও চীনের গুয়াংঝাউ প্রদেশে চিত্রটা এক্কেবারে আলাদা। সেদেশে পুরুষদের একাধিক সঙ্গী থাকাই নিয়ম।একজন সঙ্গী থাকলে সেটা নাকি তাদের কাছে প্রচন্ড লজ্জার বিষয়। অবাক শোনালেও বিষয়টি একদমই সত্যি৷ বিশ্বের জনবহুল দেশ চীনের গুয়াংঝায়ের ডংগুয়ান শহরে প্রত্যেকেরই থাকে দুজন থেকে তিনজন করে প্রেমিকা৷ সুতরাং খুব সহজেই এই শহরটি বহুগামী শহরের খেতাব দেওয়া যেতেই পারে৷ কারণ এই শহরের প্রায় সব পুরুষে বহুগামী৷ একজন মাত্র প্রেমিকার সঙ্গে থাকার এখানে কোনো নিয়ম নেই৷ নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটলে তা পুরুষের পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাজনক ৷ তাই একই সঙ্গে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান এই শহরের পুরুষরা৷

আশ্চর্যের বিষয় হল এই বিষয়ে আপত্তি নেই সেই সমস্ত পুরুষদের বান্ধবীদেরও৷ অনেকেই এই শহরের পুরুষদের বহুগামী বলে ভুল বুঝে থাকেন। তবে পুরুষরা সে বিষয়ে কান দেয় না। সমাজের স্বার্থেই নাকি তাদের দুই থেকে তিনটি বান্ধবী রয়েছে। কিন্তু কেন এমন নিয়ম রয়েছে? এই ডংগুয়ান শহরে পুরুষদের এই বহুগামীতার জন্য দায়ী কে?

   

সুন্দরী নারী বা পুরুষদের চরিত্র কোনোটিই এর জন্য দায়ী নয়। পরিসংখ্যান বলছে, এই নিয়মের জন্য দায়ী ওই অঞ্চলের নারী ও পুরুষের অনুপাত। এই শহরে প্রতি ১০০ জন নারী পিছু পুরুষের সংখ্যা ৮৫।এমন অনুপাতেরও নানা কারণ রয়েছে। এই শহরে একাধিক উৎপাদন সংস্থার কারখানা রয়েছে। সেখানে পুরুষদের বদলে নারী কর্মী নিয়োগ করতে বেশি উৎসাহী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি কাজের ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি উৎসাহী, দক্ষ এবং বিশ্বস্ত৷ এই ধারণার কারণে বিভিন্ন শহর থেকে বিভিন্ন সংস্থা সেখানে নারীকর্মী খুঁজতে আসে। আর সেই কারণে এই শহরে পুরুষদের তুলনায় নারীর সংখ্যা অসম হারে বেড়ে গিয়েছে।

কোনও কোনও বাসিন্দা মনে করে, এই শহরে কাজের তুলনায় বান্ধবী খুঁজে পাওয়া অনেক সহজ। এখানকার মহিলা কর্মচারীরা যেমনই সুন্দরী তেমনি মিশুক। ফলে তারা একে অপরের বন্ধু হয়ে যান খুব সহজে।নারীদের চিত্র এমন হলেও পুরুষদের কপাল কিন্তু এখানে খারাপ।কারণ পুরুষরা এখানে সহজে কাজ পান না। কোন কাজ করলেও খুব সামান্য পারিশ্রমিক পান। যদিও কম আয় করলে কোন সমস্যা নেই, কারণ তাদের বেশিরভাগ খরচ বহন করেন তাদের বান্ধবীরা৷ আসলে এখানে প্রচুর মহিলা রয়েছেন যাদের চাকরির জন্য কোন সমস্যা নেই কিন্তু তাদের একজন পুরুষ সঙ্গী দরকার৷ তাই সঙ্গীর ব্যয় নির্বাহ করতে তাদের কোন আপত্তি নেই৷

আসলে সেখানকার তরুণীরা এই বিষয়টিকে খুব সহজেই মেনে নিয়েছে৷ তরুণ বয়সে পুরুষদের একাধিক সঙ্গী নিয়ে মাথা ঘামান না সে দেশের নারীরা। সেখানকার মহিলা সংগঠনের দাবি পুরুষদের বহুগামীতা নিয়ে কোন মহিলা অভিযোগও করেন না।তাদের মতে একা থাকার থেকে কোন একজন পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গে থাকা বেশি শ্রেয়।