ছাগল গরু কুকুর ল্যাপটপকে বিয়ে করবেন? আগে জানুন অভিজ্ঞদের কথা

পশুপাখি বা জড়বস্তুর সঙ্গেই তাদের সংসার। কেউ বিয়ে করেছে সাপকে আবার কারোর বিয়ে হয়েছে বালিশের সাথে। কিন্তু এমন কেন করেছেন তারা। কিভাবে এরকম চিন্তা তাদের…

পশুপাখি বা জড়বস্তুর সঙ্গেই তাদের সংসার। কেউ বিয়ে করেছে সাপকে আবার কারোর বিয়ে হয়েছে বালিশের সাথে। কিন্তু এমন কেন করেছেন তারা। কিভাবে এরকম চিন্তা তাদের মাথায় এলো। বিয়ে মানে আমরা বুঝি নারী ও পুরুষের এক হওয়াকে। সাধারণত নারীর সাথে পুরুষের বিয়ে হলেও এই প্রথা ভেঙেছেন অনেকেই। তাও আবার জড়বস্তু কিংবা পশুকে বিয়ে করে। তাদেরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে মেনে নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন। হয়তো মানুষের সাথে জীবন কাটানোর ইচ্ছাই নেই। এজন্য কেউ পছন্দের গাছ বা কম্বলের সাথে সংসার শুরু করেছেন। এক নারী তো আইফেল টাওয়ারকেই স্বামী বলে মানেন। এদিকে ভারতের এক ব্যক্তি বিয়ে করেছেন গোখরো সাপকে। সেই বিয়েতে আবার যোগ দিয়েছিল প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ। পুরোহিতের সামনে নিয়ম কানুন মেনে পুরো আচার সহমতেই বিয়ে হয়েছিল তাদের।

প্রায় বছর বিশেক আগে প্রথম বিয়ে করেন অ্যামেন্ডার রজার্স নামে এক নারী। তারপর কয়েক মাসের মধ্যেই স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয় তার। এরপর কুড়ি বছর কাটিয়েছেন তার প্রিয় পোশ্য কুকুরের সাথে। একজন উপযুক্ত জীবনসঙ্গীর সমস্ত গুণ সেই পোষা কুকুরটির মাঝে খুঁজে পেয়ে অবশেষে বিয়েই করে বসেছেন কুকুরটিকে। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনের দক্ষিণ লন্ডনে। সাধারণ বিয়ের আয়োজন এর মতই তিনি ও তার বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। তৈরি করেছিলেন আলাদা বিয়ের পোশাক। ২০০ অতিথিও উপস্থিত ছিলেন সেই বিয়েতে। এমনকি উপস্থিত সবাই নবদম্পতির ওপর ফুলও ছিটিয়েছিলেন।

   

১৯৭৯ সালে কিছু সংখ্যক অতিথির সামনে ভাইলেন ওয়ালকে বিয়ে করেন ইজারিতা বার্লিনা নামে এক নারী।‌ কোরিয়ার ভদ্রলোক বিশ্বের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিয়ে করেছেন তার ব্যবহৃত কোল বালিশকে। যেখানে একটি মেয়ের ছবি আঁকা। একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি প্রিয় কোলবালিশকে কনের পোশাকে সাজিয়ে রীতিমতো ধর্মযাজক ডেকে বিয়ে করেন। মার্কিন একজন যুবক তার প্রিয় ল্যাপটপকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। তার এই বিচিত্র বিয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আদালত। মানুষের সাথে যন্ত্রের বিয়ের কোন আইন তো নেই। ল্যাপটপকে জীবনসঙ্গী করতে তিনি আদালতের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও নেমেছেন। যুক্তরাজ্যের ইউটা এক আদালতে নিজের ল্যাপটপ ম্যাকবুককে বিয়ে করার অধিকার চেয়ে তিনি ৫০ পৃষ্ঠার একটি আবেদন করেছিলেন। আদালতের কাছে তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন তিনি ল্যাপটপটাকে নিয়ে সব সব সময় ঘোরাফেরা করেন ও তার সাথে ঘুমাতেও চান। আরও যুক্তি দেখান, যেহেতু রাজ্যের অন্যান্য লিঙ্গে বিয়েতে কোনো বাধা নেই সেহেতু কেউ যন্ত্রকে বিয়ে করতে চাইলে তাতে বাধা দেওয়া ঠিক না। তাই বিষয় বিবেচনা করে যেন তাকে বিয়ের লাইসেন্স দেওয়া হয়। ল্যাপটপকে বিয়ের সিদ্ধান্ত শুধু এই যুবকই নয় এর আগে আরও নারী-পুরুষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

বিখ্যাত ডিজাইনার কার্ল ল্যাগারফিল্ড বিড়ালকে বিয়ে করেছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ৭৭ বছর এবং বিড়ালটির বয়স ২২ মাস। ২০১৩ সালে তিনি তার পোষা বিড়ালটিকে বিয়ে করেন। ২০১৯ সালে ল্যাগারফিল্ড শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পর থেকে বিড়ালটি তার এক পরিচারিকার কাছে আছে। ল্যাগারফিল্ড তার এই বিড়ালকে লিখে দিয়ে গেছেন ১.৫ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি। ২০০৬ সালে সুদানের এক ব্যক্তি বিয়ে করেন এক ছাগলকে। যৌতুক হিসেবে ১৫ হাজার সুদানি দেনারো দিয়েছিলেন ছাগলের মালিককে। শ্যারন টেনলার নামে এক নারী ঘরের কোনো কিছুকে আটকে থাকেননি। তিনি রীতিমতো এক ডলফিন এর সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। ২০০৬ সালে প্রথম সিন্ডি নামের ডলফিনটিকে দেখেছিলেন রিসোর্টে বেড়াতে গিয়ে। ডলফিন টিকে তার এতই পছন্দ হয়ে যায় যে তিনি বছরে দুই থেকে তিনবার ডলফিনের সাথে দেখা করতে যেতেন। ১৫ বছর প্রেমের পর তারা বিয়ে করেন।