Sundarbans in Duars: ঘুরে আসুন ডুয়ার্সের সুন্দরবন সিকিয়াঝোরা থেকে

অরুণাভ রাহারায়: বেশ কয়েক বছর ধরেই ডুয়ার্সের (Duars) পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে সিকিয়াঝোরা (Sikiajhora)। আলিপুরদুয়ার থেকে সামান্য দূরে সিকিয়াঝোরাকে বলা যায় সুন্দরের মনোরম ঠিকানা।…

Sikiajhora

short-samachar

অরুণাভ রাহারায়: বেশ কয়েক বছর ধরেই ডুয়ার্সের (Duars) পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে সিকিয়াঝোরা (Sikiajhora)। আলিপুরদুয়ার থেকে সামান্য দূরে সিকিয়াঝোরাকে বলা যায় সুন্দরের মনোরম ঠিকানা।

   

Sikiajhora

হলদিবাড়ি থেকে আমাদের বন্ধু ব্রহ্মজিৎ হঠাৎ একদিন আলিপুরদুয়ারে এসে হাজির। কাছের বন্ধুকে কাছে পেয়ে অন্যান্য বন্ধুরা ঠিক করলাম সিকিয়াঝোরায় যাব। শৌভিক বণিকের গাড়িতে আমাদের যাত্রা শুরু হল। ড্রাইভার গাড়ি সার্ট দিতেই এফ এম-এ বেজে উঠল শ্রেয়া ঘোষালের গান– বারশো রে মেঘা মেঘা…। আমরা সেই গান শুনতে ডুয়ার্সের রাস্তা দিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। শুভেন্দু লাহিড়ী আমাদের আরেক সফর সঙ্গী।

Sikiajhora

সিকিয়াঝোরাকে বলা হয় ডুয়ার্সের সুন্দরবন। সুন্দরবনে যেমন দুদিকের জঙ্গল দেখতে দেখতে নদীতে বোটিং করা যায়, এখানেও সেরকম ব্যবস্থা আছে। পৌঁছেই বোটে চেপে বসলাম আমি ব্রহ্মজিৎ শৌভিক আর শুভেন্দু লাহিড়ী। বোট চলতে শুরু করল। শুরু হল অ্যাডভেঞ্চার। বোটের মঝি দুজন। তাদের সঙ্গে গল্প জুড়লাম। তারা জানালেন ‘আমরা দুজন মাঝে মাঝেই খানিক রাম নিয়ে নৌকো চালিয়ে মাঝ নদীতে গিয়ে মদ খাই, তারপর শুয়ে শুয়ে আকাশ দেখি।’ এই কথা শুনে আমাদের লোভ হল। কিন্তু আমরা আজ বিয়ারও আনিনি। অতএব আরেক দিন!

Sikiajhora

বোট যতই এগিয়ে যাচ্ছে ঝঁঝির শব্দ প্রখর হয়ে প্রবেশ করছে কানে। নদীটির দুপাড়ে দেখতে পাচ্ছি হাতির পায়ের ছাপ। হাতি এখানে জল খতে আসে– মাঝিদ্বয় জানালেন। আমারা একটু ভয় পেলাম ঠিকই কিন্তু মুষড়ে পড়লাম না। বরং চোখ ভরে দেখলাম সুদূর-সবুজ।

বোটটা এবার যেখনে পৌঁছল সেই জায়গাটাকে মাঝিরা বলেন- ‘এসি ঘর’। কারণ জায়গাটা বেশ ঠাণ্ডা। ওপরে গাছগাছালির ডালপালা আর দুদিকে মোটা মোটা গাছ। তাই একটা ঘরের আকার নিয়েছে যেনবা। এখানে কিছুক্ষণ থেমে রইলাম। তারপর আবার চলা। কিছুটা যাওয়ার পরেই নদীভ্রমণের শেষ সীমানা এল। কিন্তু তার বাইরেও তো নদী আছে, তাহলে সীমানা কেন? মাঝিরা জানালেন– ওই পথ বিপদ সংকুল, সাপ খোপ ইত্যাদি। অতএব ওদিকে নয়। সুতরাং ফেরা! আবার একই রকম ভাবে ধীরে ধীরে ফেরা। তবে, ঘণ্টা খানিকের এই সফর মন ভরিয়ে দিয়েছিল। আপনিও ঘুরে আসতে পারেন।