Seema-Sachin Love Story: পাকিস্তানের সীমা হায়দার এবং ভারতের সচিন মীনার প্রেমের গল্প আজকাল দেশজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। সীমা সচিনের প্রেমে এতটাই মগ্ন ছিলেন যে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে নেপাল হয়ে গ্রেটার নয়ডার রাবুপুরায় পৌঁছেছিলেন।
ভারতে আসার পর থেকেই সীমা হায়দার এখানেই স্থায়ী হয়েছেন। সীমান্তে শচীনের ভালোবাসার প্রভাব এমনই হয়েছে যে তার পোশাক-আশাক এবং খাওয়া-দাওয়ার পদ্ধতিতে বিশ্বব্যাপী পার্থক্য দেখা দিয়েছে। সীমা বলেছেন যে তিনি পাকিস্তানে যাওয়ার চেয়ে তার গলা কেটে ফেলবেন বা বিষ খেয়ে মারা যাবেন। তিনি বলেছেন যে তিনি শুধু ভারতেই থাকতে চান।
তবে এই ভালোবাসার গল্পে আপাতত এসেছে নয়া মোড়। সীমা-সচিন এবং তার বাবাকে জেরা করছে উত্তর প্রদেশের অ্যান্টি-টেরোরিজম স্কোয়াড (Uttar Pradesh’s Anti-Terrorism Squad) বা এটিএস (ATS)। জানা গিয়েছে একটি গোপন জায়গায় হচ্ছে তিনজনের জেরা। কয়েকদিন আগেই এই তিনজনকে শর্তসাপেক্ষ্য জামিন দেওয়া হয়। পুলিশকে না জানিয়ে সীমা ভারত ছেড়ে যেতে পারবেনা। তার বর্তমান ঠিকানা বদলালেও তা জানাতে হবে আদালতকে।
PUBG খেলতে গিয়ে প্রেমে পড়ে ভারতে আসে পাকিস্তানি মহিলা সীমা হায়দার। কয়েকদিন পরেই তিনি জানান যে তিনি আর মানুষের সামনে আসবেন না। এমনকি মিডিয়ার প্রশ্নের উত্তরও দেবেন না তিনি। সীমা হায়দার সোশ্যাল মিডিয়ায় শিরোনাম হয়েছেন, তারপর থেকে তার বাড়ির সামনে ২৪ ঘন্টা লোকের ভিড় থাকে। মানুষ সীমা হায়দারের সঙ্গে সেলফি তুলতে চায়।
সীমা এবং সচিনকে গত ৪ জুলাই হরিয়াণার বল্লবগড় থেকে গ্রেফতার করা হয়। যে উকিলের কাছে তারা বিয়ের জন্য দ্বারস্থ হয়, সেই প্রশাসনকে খবর দেয় যে সীমা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে। শচীনের বাবাকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনজন ৮ জুলাই জামিনে মুক্তি পান।
আজ তকের (Aaj Tak) এক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে সীমা তাকে ভারতে থাকার অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।