Behind Smiles: জানেন হাসি কেন পায়? ৯৯ শতাংশ মানুষই এর কারণ জানে না

Behind Smiles: মজার কোনো কথা শুনেই হোক কিংবা উদ্ভট কিছু দেখে, হঠাৎ হঠাৎই আমরা হাসতে শুরু করি। হিহিহি করে হাসুন বা হাহাহা করে হাসুন। যেমনটা আপনার ইচ্ছা।

Smile indian girl

Behind Smiles: মজার কোনো কথা শুনেই হোক কিংবা উদ্ভট কিছু দেখে, হঠাৎ হঠাৎই আমরা হাসতে শুরু করি। হিহিহি করে হাসুন বা হাহাহা করে হাসুন। যেমনটা আপনার ইচ্ছা। অধিকাংশ ডাক্তাররা বলেন, হাসি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কোনো কোনো সময় এমন কিছু ঘটনা ঘটে যে হাসি থামানোই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আপনি কি জানেন, আমাদের এই হাসির পিছনে আসল কারণ কি? জানতে পুরো প্রতিবেদনটি পড়ুন।

হাসির প্রকাশ স্বতঃস্ফূর্ত মনে হলেও এর পিছনে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এর মধ্যে রয়েছে মানুষের শরীর ও মনের বিভিন্ন উপাদানের সাথে বিভিন্ন সামাজিক উপাদান এর জটিল ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া। চলুন জেনে নিই কখন এবং কেন হাসি পায়?

বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ শারীরিক ও মানসিক অবস্থা মানুষের মাঝে হাসির উদ্রেক করে।
১) পরমানন্দ: বেশিরভাগ সময় অতিরিক্ত আনন্দ অনুভূত হলে আমরা হেসে ফেলি।
২) অন্যকে হাসতে দেখা: কখনো কখনো অন্যকে হাসতে দেখেও আমাদের মধ্যে হাসি উদ্রেক হয়। এটা আসলে সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
৩) সুন্দর দৃশ্য দেখে: কোনো সুন্দর এবং উজ্জ্বল দৃশ্য যা মনকে তৃপ্তি দেয় এমন কিছু দেখে আমরা খুশি হয়ে হেসে ফেলি।

৪) সুরসুরি: অনেক সময় কেউ যদি শরীরের কোন অঙ্গে সুড়সুড়ি দেয় সে ক্ষেত্রেও হাসি পায়। কারণ এতে শরীরে মৃদু প্রতিক্রিয়া অনুভূত হয়।
৫) আয়নায় নিজের ছবি দেখে: মাঝে মাঝে আয়নায় নিজের মুখ দেখেও আমরা হাসি।
৬) ভাবনা: কিছু ভাবতে ভাবতেও আমরা হাসি। কোনো কিছু ভাবার সময় আমরা নিজেদের মতন করে সেটির একটা ছবি কল্পনা করি।

৭) অন্যকে উত্যক্ত করে: কেউ কেউ অন্যদের উত্ত্যক্ত করে খুব মজা পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হাসির উদ্রেক ঘটে।
৮) অসামঞ্জস্যতা: সামঞ্জস্য নয় এমন কোনো কিছু দেখেও আমাদের হাসি পায়। ধরুন একজন গরমকালে শীতের পোশাক যেমন জ্যাকেট কিংবা সোয়েটার পড়ে ঘুরছেন। এতে হাসি পাওয়াটা স্বাভাবিক।

৯) ভালো কোন কিছু অনুভব করা: হাসি ভালো কিছু অনুভব থেকেও আসে।
১০) হরমোন ক্ষরণ: এন্ডোরফিন হরমোন ক্ষরণে স্ট্রেস দূর হয়। ফলে হাসি পায়। এই হরমোনকে স্ট্রেস হরমোন বলে যা কর্টিজল হরমোনের ক্ষমতা কে কমিয়ে আনে। কাজেই আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে, হাসিও পায়।

উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য মানুষ হাসতে পারে। একটা জনশ্রুতি আছে যে, হাসতে জানে সে দীর্ঘ জীবন লাভ করে। এর একটি বৈজ্ঞানিক সত্যতা আছে। সেটা হলো, হাসি শরীর ও মনকে সতেজ করে। হাসলে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। মস্তিষ্কের কোষে কোষে এই রক্ত নিয়ে গিয়ে আমাদের সজীব করে তোলে। হাসির ফলে সমস্ত রক্তনালী পেশী এবং দেহ সুস্থ ও সতেজ হয়ে ওঠে। হাসির ফলে পেটের পেশির যে সঞ্চালন হয় তা নিঃসন্দেহে হজমে সাহায্য করে। শারীরিক দিক থেকে হাসি খুবই উপকারী।