Earthquakes: বৈজ্ঞানিক বা যন্ত্র নয় বরং ভূমিকম্পের আভাস দেয় কুনো ব্যাঙ

আমরা বাড়ির আনাচে কানাচে সর্বদাই বহু কুনো ব্যাঙ দেখি। জানলে অবাক হবেন যে, এই কুনো ব্যাঙ ভূমিকম্পের (Earthquakes) পূর্বাভাস দিতে পারে। কুনো ব্যাঙ Bufo গনের এক প্রজাতির অতি একটি পরিচিত ব্যা

Toads' Ability to Predict Earthquakes

আমরা বাড়ির আনাচে কানাচে সর্বদাই বহু কুনো ব্যাঙ দেখি। জানলে অবাক হবেন যে, এই কুনো ব্যাঙ ভূমিকম্পের (Earthquakes) পূর্বাভাস দিতে পারে। কুনো ব্যাঙ Bufo গনের এক প্রজাতির অতি একটি পরিচিত ব্যাঙ। যা Asian common toad নামেও পরিচিত। কুনো ব্যাঙ শীতল রক্ত বিশিষ্ট মেরুদন্ডী প্রাণী।
বাড়ির আনাচে-কানাচে এদের প্রায়ই দেখা যায়। এরা দেওয়ালের কোটরে কিংবা মাটির গর্তে থাকে। তাই এদের কুনো ব্যাঙ বলা হয়। কুনো ব্যাঙ সাধারণত পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে। এদের সারা শরীরে আচিলের মত ছোট ছোট অনেক দাগ থাকে। তাই এদের সহজেই চেনা যায়।

শীতকালে কুনো ব্যাঙ শীতনিদ্রায় (Hibernation) চলে যায়। কুনো ব্যাঙ একটানা ছয় মাস ঘুমিয়ে থাকতে পারে। এরা আকারে মাত্র কুড়ি সেন্টিমিটারের। এদের ওজন ১৫ থেকে ২০ গ্রাম। বর্ষাকালে প্রজনন মরশুমে স্ত্রী ব্যাঙ প্রায় ৩০,০০০ ডিম্বাণু ছাড়ে।  ভূমিকম্পের পূর্বাভাস শুধুমাত্র বিজ্ঞানী বা যন্ত্র দিতে পারে না। এই কুনো ব্যাঙ ভূমিকম্পের আভাস দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ভূমিকম্প হওয়ার আগেই তারা আগাম সংকেত পেয়ে যায়। কমপক্ষে সপ্তাহ খানেক আগে তারা এই তথ্য পেয়ে যায়।

যুক্তরাজ্যের ওপেন ইউনিভার্সিটির প্রাণীবিদ। ড. রাসেল গ্রান্ট ইতালির একটি লেকে কুনো ব্যাঙ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এই অজানা বিষয়টি আবিষ্কার করেন। তার গবেষণার ২৯ দিনের মাথায় লেক এলাকায় ৬.৩ মাত্রায় একটি ভূমিকম্প সংগঠিত হয়।  তিনি খেয়াল করলেন ভূমিকম্পের ঠিক ছয় থেকে সাত দিন আগে, কুনো ব্যাঙ গুলো অদ্ভুত আচরণ শুরু করে। পাঁচ দিনের মাথায় তারা নিজেদের আবাস ছাড়তে শুরু করে। এরপর তিন দিনের মাথায় গবেষণাস্থল সান রুফফিনো কুনো ব্যাঙ অন্য জায়গায় চলে যায়।

Advertisements

এক্ষেত্রে শুধু সাধারণ কুনো ব্যাঙরা ঘর ছেড়েছে এমন নয়। পোয়াতি ব্যাঙ গুলো তাদের স্থান ছাড়ে। এই ঘটনার তিন দিনের মাথায় শুরু হয় প্রবল ভূমিকম্প।  আবরুৎসো অঞ্চলে লাকিলা শহর ও সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মারা যায় শতাধিক মানুষ। বিজ্ঞানীরা এখন গবেষণা চালিয়ে দেখতে চান যে, কিভাবে কুনো ব্যাঙ ভূমিকম্পের পূর্বাভাস বুঝতে পারে।

International union for conservation of nature এই প্রজাতিটিকে least concern বা ন্যূনতম প্রজাতি বলে ঘোষণা করেছে।