Patal Nagini: কালনাগিনী বিষহীন কিন্তু পাতাল নাগিনী? সেকেন্ডে তিনটে ছোবল…

সমুদ্র রয়েছে নানান রঙের নানান জাতের সাপ। একটি সামুদ্রিক সাপ তার গোটা জীবন সমুদ্রের জলে কাটায়। তবে কিছু কিছু সময় তারা নদীতে চলে আসে। মাঝে…

Patal nagini

সমুদ্র রয়েছে নানান রঙের নানান জাতের সাপ। একটি সামুদ্রিক সাপ তার গোটা জীবন সমুদ্রের জলে কাটায়। তবে কিছু কিছু সময় তারা নদীতে চলে আসে। মাঝে মাঝে বাংলাদেশের বেশ কিছু নদীতে দেখা মেলে এমন কিছু সামুদ্রিক সাপের। এমনই একটি সাপ হল পাতাল নাগিনী (Patal Nagini)।

বাংলাদেশের দুর্লভ সাপ পাতাল নাগিনীর ইংরেজি নাম অ্যানোলেটেড সি স্নেক। এই সাপটিকে অনেকেই পাতাল নাগিনী না বলে ছিটুল বলে থাকেন। কিছু কিছু অঞ্চলে এই সাপটিকে কালো হলুদ বলয় যুক্ত লাঠি সাপও বলা হয়ে থাকে।

জানা যায় পাতাল নাগিনী সাপটি বিষধর সাপেদের মধ্যে একটি। দ্রুতগতির এই সাপটি সেকেন্ডে প্রায় তিনবার ছোবল মারতে পারে। এই সাপের বিষ স্থলভাগের গোখরো সাপের থেকে আট গুন শক্তিশালী। তাই কখনো যদি জেলেদের জালে এই সাপ ধরা পড়ে, তারা সাপটিকে মেরে ফেলে। কিন্তু হিন্দু জেলেদের ক্ষেত্রে অন্য চিত্র দেখা যায়। জালে এই সাপ পড়লে মেরে ফেলেন না। হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে অতি পবিত্র এই সাপটিকে তারা পাতালপুরীর পবিত্র সাপ বলে ডাকে।

আঞ্চলিক ভাষায় পাতাল নাগিনী নামে পরিচিত এই সাপটির বসবাস গভীর সমুদ্রে। তাছাড়া এই সাপটি বাংলাদেশের আর কোন কোন নদীতে থাকতে পারে সে বিষয়ে একেবারেই অজানা বাংলাদেশের বাসিন্দারা। তবে নরসিংদী জেলার বাসিন্দাদের কাছে এই নামটি বেশ চেনা। তারা সাপটিকে না দেখলেও এই সাপের কথা অনেক শুনেছেন। চরসিন্দু ইউনিয়নের জেলেরা রাতের বেলা শীতলক্ষ্যা নদীর গভীরে মাছ ধরতে সারি সারি বড়শি ফেলে রাখে। এসব বড়শিতে টোপ হিসাবে ব্যবহার করা হয় লালকেঁচো। মাঝে মাঝে পাতাল নাগিনী সাপ এইসব টোপগুলি ভুল করে গিলে ফেলে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি বাংলাদেশের পাওয়া পাতাল নাগিনী সাপগুলি নিশাচর প্রকৃতির। এদের দেহে হলুদ এবং সবুজ আভার উপরে কালো রঙের বলয় থাকে। মাথার দিকের অংশটি সরু, কিছুটা ইংরেজি ভি আকৃতির হয়ে থাকে। লেজের দিকের অংশ চ্যাপ্টা। লেজটি চ্যাপ্টা হওয়ায় নৌকার বৈঠার মত ব্যবহার করতে পারে। এদের নাকের উপরে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় ঢাকনা থাকে। যার ফলে জলের নিচে ডুব দিয়ে টানা পাঁচ ঘন্টা থাকতে পারে। মাঝে মাঝে সরু মাথা এবং তীরের ফলার মতো শরীরের কিছুটা অংশ জলের উপরে ভাসিয়ে তোলে। প্রজননের সময় প্রায় ৩০ টি করে বাচ্চা হয়।