World malaria day:আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। ম্যালেরিয়া সম্পর্কে জেনে নিন কিছু তথ্য

মশাবাহিত এই রোগের কবলে গোটা বিশ্ব। যদিও আজ থেকে নয় দীর্ঘকাল ধরেই ওই ছোট্ট মশার কবলে ঘায়েল হয়েছেন কত কেউ। পরিসংখ্যার খুঁজতে বসলে অবাক হতে…

world malaria day

মশাবাহিত এই রোগের কবলে গোটা বিশ্ব। যদিও আজ থেকে নয় দীর্ঘকাল ধরেই ওই ছোট্ট মশার কবলে ঘায়েল হয়েছেন কত কেউ। পরিসংখ্যার খুঁজতে বসলে অবাক হতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-এর মতে ৩.৩ বিলিয়ন মানুষ আজও ম্যালেরিয়ার কবলে। সারা বিশ্বে ১০৬টি দেশে মশা ম্যালেরিয়া রোগে ছড়িয়ে বেড়ায়। যদিও গ্রীষ্ম প্রধানত দেশে ম্যালেরিয়ার বংশবিস্তার করে থাকে। গতবছরই এই মশাবাহিত রোগে গোটা বাংলায় মৃত্যু হয়েছিল কয়েকজন। আসুন জেনে নেওয়া যাক ম্যালেরিয়া নিয়ে কিছু তথ্য।

১) স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশাই একমাত্র মশা যা ম্যালেরিয়া ছড়ায়। প্রাথমিকভাবে রাত ৯টা থেকে সকাল ৫ টার মধ্যে এই মশা কামড়ায়। যে কারণে মশারির নীচে ঘুমানো ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও আজকাল অনেকের মতে ম্যালেরিয়ার মশা সারাদিনের যে কোনও সময়ই কামড়াতে পারে।

২) কথিত আছে প্রাচীন গ্রীসের ফিজিসিয়ান হিপোক্রেটিস, যাকে “ঔষধের জনক” বলা হয়, তিনি প্রথম এই রোগের লক্ষণসমূহের বর্ণনা দেন এবং বছরের কোন সময় এটা হয় ও কোন জায়গায় রোগীরা বাস করে সেই তথ্যের সঙ্গে একটা সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন।

৩) ডাক্তারি পরিভাষায়, সংক্রামিত ব্যক্তিকে কামড়ানোর পর যখন একটি মশা রোগে আক্রান্ত হয় তখন ম্যালেরিয়া ছড়ায় এবং সংক্রামিত মশাটি অসংক্রমিত ব্যক্তিকে কামড়ালে। ম্যালেরিয়া পরজীবী সেই ব্যক্তির রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে এবং যকৃতে ভ্রমণ করে। যখন পরজীবী পরিপক্ক হয়, তারা লিভার ছেড়ে লোহিত রক্তকণিকাকে সংক্রমিত করে।

৪)ম্যারেরিয়ার লক্ষণগুলি হতে পারে ঠাণ্ডা, জ্বর , মাথাব্যথা , পেশী ব্যথা, বমি বমি ভাব , বমি , ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথার সংমিশ্রণ । পর্যায়ক্রমিক আক্রমণে ঠান্ডা এবং জ্বর দেখা দেয়। প্রথমে ঝাঁকুনি এবং ঠাণ্ডা লাগার পর্যায়, তারপরে জ্বর এবং প্রচণ্ড মাথাব্যথার পর্যায় এবং অবশেষে প্রচুর ঘামের পর্যায় যা তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। আক্রমণের মধ্যে তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের কম হতে পারে।

৫)ম্যালেরিয়া ক্রান্তীয় অঞ্চল, ‌উপ‌-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বেশি দেখা যায় কারণ বৃষ্টিপাত, উষ্ণ তাপমাত্রা, এবং স্থির জল হল মশার ডিমের জন্য আদর্শ আবাসস্থল।প্রত্যেক বছর, প্রায় ৫১.৫ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন এবং প্রায় দশ থেকে ত্রিশ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান যাদের মধ্যে বেশিরভাগই আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলের শিশু। কুইনাইন দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা হয়।