National education day:আজ ১৪ তম জাতীয় শিক্ষা দিবস! কেন পালন করা হয় জানেন?

স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে, এবং দেশের শিক্ষার প্রগতিতে তিনি যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন তার স্মরণে আজ ১১ নভেম্বর,…

স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে, এবং দেশের শিক্ষার প্রগতিতে তিনি যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন তার স্মরণে আজ ১১ নভেম্বর, ২০২২ তারিখে ভারতে জাতীয় শিক্ষা দিবস(National Education Day) পালিত হচ্ছে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে সম্মান জানাতে, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ১১ নভেম্বর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বরকে ‘জাতীয় শিক্ষা দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। আজ স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রীর দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে ভূমিকা মাথায় রেখে তাঁর জন্মদিনে দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে ১৪ তম জাতীয় শিক্ষা দিবস (National Education Day)।

  • জাতীয় শিক্ষা দিবস ২০২২: তাৎপর্য:

মৌলানা আবুল কামাল আজাদ ১৫ অগাস্ট ১৯৪৭ থেকে ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ভারতের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী, ইসলামী ধর্মতাত্ত্বিক, লেখক এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন প্রবীণ ও বুদ্ধিদীপ্ত নেতা। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি সর্বদা মেয়েদের শিক্ষা এবং ১৪ বছরের কমবয়সী সকল শিশুর জন্য বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষার উপর জোর দেন।

তিনি প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি সকল শিশুকে কারিগরি শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানে উৎসাহিত করেন। তিনি এই দেশকে শিক্ষার দিক দিয়ে বেড়ে উঠতে দেখতে চেয়েছিলেন এবং তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী হলে দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা থাকবে না তাই তিনি সর্বদা শিক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে উৎসাহিত করেছেন। শিক্ষাব্যবস্থাকে যতটা শক্তিশালী গড়ে তোলা যায়, এর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন কোন এক দেশের প্রগতি শিক্ষা হাত ধরেই হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই), জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং আইআইটি খড়গপুর সেকেন্ডারি স্কুল বোর্ডের মতো খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলি তাঁর আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর), সাহিত্য একাডেমি, ললিতকলা একাডেমি, সঙ্গীত নাটক একাডেমি এবং বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠায় অনস্বীকার্য অবদান রেখেছিলেন।

  • জাতীয় শিক্ষা দিবস: এটি কীভাবে পালিত হয়?

প্রতি বছর ভারতে জাতীয় শিক্ষা দিবস পালিত হয়। বিভিন্ন স্কুল এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন তথ্যমূলক সেমিনার, প্রবন্ধ সিম্পোজিয়াম এবং সমাবেশের আয়োজন করা হয়ে থাকে। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম পরিচালনা করে থাকেন যেখানে তারা মানুষের জীবনে শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে পড়ুয়াদের অবগত করেন। কোন কোন জায়গায় পিছিয়ে পড়া, সমাজের মূল স্রোতের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করে, তাদের শিক্ষার ভূমিকা বোঝায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করে। পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে জাতীয় শিক্ষা দিবসের দিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

  • জাতীয় শিক্ষা দিবস: ২০২২ সালের থিম

মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক প্রতি বছর জাতীয় শিক্ষা দিবসের জন্য একটি ভিন্ন থিম নির্ধারণ করে থাকে। এবারের থিম হচ্ছে ‘পরিবর্তন কোর্স, শিক্ষার রূপান্তর’(changing course, transforming education)। এই থিমটি নির্দেশ করে যে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন এবং এটিকে বর্তমান সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।