Special Correspondent: বাংলাদেশের মূর্তি ভাঙা কাণ্ডের মূল কান্ডারি ধরা পড়েছে। তবে মানুষের মন থেকে ভয়ঙ্কর সময় কাটেনি। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা এবার পাহারা দিতে শুরু করেছেন হিন্দু মন্দির।
যেমন সাব্বির চৌধুরী। ওরা তিন চার বন্ধু মিলে পাহারা দিতে শুরু করেছে মন্দির। প্রতিদিন তারা রাত জাগছেন হিন্দু ধর্ম প্রতিষ্ঠান মৌলবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। তিনি বলেছেন , ” মন্দিরে পাহারা দেওয়া শুরু করলাম। যেখান থেকে আমার শৈশব এর বেড়ে ওঠা , নন্দন কানন ১ নম্বর গলি লোকনাথ মন্দির ও ইসকন মন্দির এর গেটের বাইরে আজ থেকে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে আসা পর্যন্ত প্রতি দিন রাত ১২ টা থেকে ভোর পর্যন্ত পাহারা দিবো ইনশাআল্লাহ ।
ঈমানী দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে ও আমার এলাকার হিন্দু পরিবারের নিরাপত্তা দিতে আমার সকল মুসলিম এলাকা বাসীকে আহ্বান জানাই আপনারাও আপনাদের ঈমানী দায়িত্ব পালন করতে ও হিন্দু প্রতিবেশীর হক আদায় করতে এগিয়ে আসুন । সঙ্গে আছে বন্ধু তারেক ও ফাইসাল । এবার এলাকার আরও অনেক ভাই সাথে থাকবে ইনশা আল্লাহ।”
প্রসঙ্গত, কুমিল্লায় হিন্দুবিরোধী দাঙ্গায় সারা বিশ্বের ভর্ৎসনার মুখে পড়ার পর অবশেষে তৎপর হয় বাংলাদেশ সরকার। সেদেশের কুমিল্লায় দুর্গাপূজা মণ্ডপে হনুমানের মূর্তির পায়ে যে ব্যক্তি কোরান রেখেছিলেন তাকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমসূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে ইকবাল হোসেন নামে ৩০ বছর বয়সী ওই যুবককে। তার সন্ধানে বাংলাদেশ পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে সেদেশের সংবাদমাধ্যম।
গত বুধবার শারদোৎসবের অষ্টমীতে কুমিল্লাল শহরের নানুয়া দিঘিরপাড় এলাকায় একটি পূজামণ্ডপের বাইরে রাখা হনুমানের মূর্তির পায়ে একটি কোরআন শরিফ দেখা যায়। এর পর গোটা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে হিন্দুবিরোধী দাঙ্গা। ভাঙচুর করা হয় একের পর এক মণ্ডপে। ভাঙচুর করা হয় একের পর এক মূর্তি। হত্যা করা হয়েছে অন্তত ৮ জন হিন্দুকে। পোড়ানো হয়েছে মঠ ও মন্দির। ৫ দিন ধরে নাগাড়ে দেশজুড়ে হিংসা চললেও কোথাও বাধা দিতে দেখা যায়নি হাসিনা সরকারের পুলিশকে।
হিংসা থামার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তাতে মোট ৪৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে হাসিনা প্রশাসন। সঙ্গে সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই ঘটনায় মূলচক্রীদের খুঁজে বার করা হবে।
বুধবার ঘটনার ১ সপ্তাহ পরে হাসিনা সরকারের পুলিশ ইকবাল আহমেদ নামে ওই যুবককে শনাক্ত করেছে। সে কুমিল্লা শহরেরই মুরাদপুর – লস্করপুকুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানানো হয়েছে। তার ছবিও প্রকাশ করেছেন তদন্তকারীরা। জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।