বিশেষ প্রতিবেদন: রিকশা নিয়ে লাদাখ যাত্রার ঘটনা নতুন নয়। এবার কিন্তু দূর গাঁয়ের কৃষক পাযে হেঁটেই দেশভ্রমণ করেছেন। সাইকেল নিয়ে চষে বেড়িয়েছেন কলকাতা-দিল্লি-মুম্বাই-চেন্নাই। এবার তাঁর গন্তব্য স্বপ্নের শহর লাদাখ (Ladakh)।
সাইকেল নিয়ে গ্রামীণ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর থেকে লাদাখের পথে পাড়ি দিলেন বছর ষাটের ‘যুবক’ ঠাকুরদাস শাসমল (Thakurdas Shasmal)। যদিও তিনি দাসুদা নামেই তিনি অধিক পরিচিত। পরিবেশবান্ধব ভ্রমণের বার্তা নিয়েই এবার তাঁর লাদাখ যাত্রা। তবে এবার দাসুদা একা নন তাঁর এই যাত্রায় সাথী হয়েছে সৌরভ ধাড়া, নবীন পালের মতো কলেজ পড়ুয়ারা। দাসুদা দলনেতা।
এবারে পঞ্চপান্ডবের লাদাখ জার্নি-বলাই যায়।লাদাখ এক স্বপ্ন ভূমি। বাইকার্সরা সেখানে গিয়ে স্বপ্নের জগৎ কে ছুঁতে ব্যাকুল হন। কিন্তু সাইকেলে ?! হ্যাঁ-এবার ব্যাতিক্রমী একটা সাইকেল ভ্রমণে-দাসুদা এন্ড কোং-লাদাখের পথে।পেশাগত জীবনে তিনি চাষী এবং নেশায় ভ্রমণকারী । দাসুদা ভিলেজ বাইকার্স এর সভাপতিও। সারা ভারতবর্ষের পথে পথে ঘুরে বেড়ায় করে “দ্যা ট্রাভেলর”। এবার লক্ষ্য লাদাখ। তার দলের এবারের মেসেজ-“পরিবেশ বান্ধব ভ্রমণ বা ইকো ফ্রেন্ডলি ট্রাভেলিং”।
উদয়নারায়ণপুরের বকপোতা ব্রিজ থেকে শুরু হয়েছে তাদের যাত্রা। পেশায় কৃষক সকলের প্রিয় দাসুদা জানান, “যাওয়া আসা মিলিয়ে প্রায় ছ’হাজার কিলোমিটার পথ। পুরোটাই আমরা সাইকেলে অতিক্রম করব। সাইকেল দূষণহীন যান। সেই বার্তাই চলার পথে মানুষের কাছে তুলে ধরব।” তিনি আরও জানান, এর আগেও একাধিকবার তিনি ভারত ভ্রমণ করেছেন।
ছোট থেকেই ঘোরার নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতেন ঠাকুরদাস। আর্থিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্বপ্ন দেখতে দেশ ভ্রমণের। সেই নেশা মেটাতেই হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে একটি বাইক কেনেন ঠাকুরদাস। তা নিয়েই মাঝেমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাঝেমধ্যেই বেড়িয়ে যেতেন। ২০০৩ সালে ঠাকুরদাস বাবু ‘ভিলেজ বাইকার্স’ নামক সংগঠনটি গড়ে তোলেন। তারপর থেকেই বিভিন্ন ভাবে ভিন্ন উদ্দেশ্যে নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন বিভিন্ন প্রান্তে। যেমন ২০১৮ সালে মরণোত্তর চক্ষু ও দেহদানের বার্তা নিয়ে সাইকেলে কলকাতা-দিল্লি-চেন্নাই-মুম্বাই পাড়ি দিয়েছিলেন। তারপর ২০২০ সালে করোনা সচেতনতার বার্তা নিয়ে একই পথে পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছিলেন। এবার পরিবেশবান্ধব ভ্রমণের বার্তা নিয়ে তাঁর গন্তব্য স্বপ্নের শহর লাদাখ।