১০৪তম বছরে পূজো বান্ধবদেরই থিমের অঙ্গ করছে এই ক্লাব

বিশেষ প্রতিবেদন: এরাই একটা পুজোকে ১০৪ বছর ধরে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এখনকার পুজোয় পুরস্কারের দৌড়ে ওদের কথা বিশেষ মনে থাকে না পুজো উদ্যোক্তাদের। তাদেরকেই সম্মান…

hal chherona bondhu

বিশেষ প্রতিবেদন: এরাই একটা পুজোকে ১০৪ বছর ধরে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এখনকার পুজোয় পুরস্কারের দৌড়ে ওদের কথা বিশেষ মনে থাকে না পুজো উদ্যোক্তাদের। তাদেরকেই সম্মান দিয়ে থিমের অঙ্গ করে তুলছে সরকার বাগান।

বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে চলা করোনা মহামারীর এই কঠিন পরিস্থিতিতে ১০৪তম বর্ষে তাঁদের নিবেদন ” হাল ছেড়ো না বন্ধু” । বছরে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এক অভিনব পন্থা নিয়েছে এই পূজো কমিটি। যার বিষয়ের নাম “হাল ছেড়ো না বন্ধু”! কিন্তু কারা এই বন্ধু? কাদের হাল ছাড়তে বারণ করা হয়েছে? সরকার বাগানের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, বন্ধু তারাই যারা বছরের পর বছর ধরে নানাভাবে সরকার বাগান সম্মিলিত সংঘের দুর্গাপূজা আয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, যাদের বহু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে আমাদের পুজোর সাফল্যমন্ডিত হওয়ার পিছনে। মন্ডপ থেকে শুরু করে আলোকসজ্জা ও প্রতিমা গড়ার পেছনে বিগত বছরগুলোতে যারা আমাদের পুজো উদযাপন করতে সহায়তা করেছেন, পাশে থেকে পুজোকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন, এই বছর সরকার বাগান সম্মিলিত সংঘ তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে।

   

বিগত বছরগুলোতে মণ্ডপ সজ্জা, আলোকসজ্জা , এবং আনুসাঙ্গিক বিভিন্ন কাজে যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের প্রত্যেকের থেকে কিছু কিছু জিনিস নিয়েই সেজে উঠবে তাদের ১০৪তম বর্ষের মণ্ডপ। এই মণ্ডপে যেমন থাকবে পুরুলিয়ার ছৌ নাচ, তেমন থাকবে বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির কাজ। এই করোনা পরিস্থিতিতে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের নানারকম হাতের কাজের জিনিসও এবারের মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহৃত হবে।

সমগ্র মন্ডপ পরিকল্পনায় থাকছেন অমিত ও অরিন্দম। মাতৃ রূপ সম্পূর্ণ সাবেকি। মাতৃ প্রতিমায় রূপদান করবেন সনাতন পাল। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যথেষ্ট আশাবাদী। তাঁরা জানাচ্ছেন, ‘ স্বল্প বাজেটের মধ্যে পুজো করা ও কিছু মানুষের পাশে দাঁড়ানোই সরকার বাগান সম্মিলিত সংঘের প্রধান লক্ষ্য। আমরা আমাদের এবারের এই মানবদরদি প্রচেষ্টা শিল্পের সাথে যুক্ত বেশ কিছু মানুষের বেশ কিছু মানুষের আর্থিক সংস্থানে কাজে আসবে বলেই আমাদের বিশ্বাস’।