১০০ গ্রামের চায়ের (Tea) দাম ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা! হ্যাঁ ঠিক তাই। ভারতের বাজারে চলতি টি-ব্যাগ ভরা প্যাকেটের দাম বড় জোড় ২ টাকা থেকে ১০ টাকা। কিন্তু জানেন কি ব্রিটিশ চা কোম্পানি ‘পিজি টিপস’-এর বানানো একটি টি-ব্যাগের দাম কত? ১৫,০০০ মার্কিন ডলার, ভারতীয় মূদ্রায় যা প্রায় ১০ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকার সমান! হ্যাঁ এটিই হল বিশ্বের সবচেয়ে দামি টি-ব্যাগ।
একটি টি-ব্যাগের এই আকাশছোঁয়া দাম হওয়ার কারণ কী? তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘পিজি টিপস’-এর ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই বিশেষ টি-ব্যাগ তৈরি করেছিল বডেল্স জুয়েলার্স নামে একটি সংস্থা। টানা ৩ মাস ধরে একটি একটি করে মোট ২৮০টি হীরে করে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে সাবধানী হাতে বসিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এই বিশেষ টি-ব্যাগটি।তবে বিশ্বের সবচেয়ে দামি চা পানের ইচ্ছে মেটাতে এটি তৈরি করা হয়নি, মহামূল্য এই টি-ব্যাগ তৈরি এবং বিক্রি করা হয় ম্যানচেস্টার চিলড্রেন্স হাসপাতালের শিশুদের চিকিৎসা খাতে সাহায্যের জন্যে।
<
p style=”text-align: justify;”>‘পিজি টিপস’ বিশ্বের সবচেয়ে দামি টি-ব্যাগ তৈরি করলেও এই সংস্থার যে চায়ের প্যাকেট বিক্রি হয় তার দামের বিচারে একটি টি-ব্যাগের দাম ১২ টাকার থেকে একটু বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে দামি চা তৈরি হয় চিনের ফুজিয়ান প্রদেশের ‘দ্য হং পাও’-এর কারখানায়। চিনা ভাষায় এই শব্দটির অর্থ ‘লাল রঙের গাউন’। এ-চা’য়ের দাম ৯৯৪৭৭ টাকা প্রতি গ্রাম। চিন সরকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখে দা হং পাও-এর চাষ। প্রধানত জুন-জুলাই মাসে খুব সাবধানে এই গাছ থেকে চা’পাতা তোলা হয়। ‘দ্য হং পাও’-এর ১ কেজি চা পাতার দাম প্রায় ১৫,০০,০০০ মার্কিন ডলার, ভারতীয় মূদ্রায় যা প্রায় ১০ কোটি ৪৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা! আসলে এটি জৈব চা। ফুজিয়ান প্রদেশের ইউয়ী পর্বতমালায় ‘দ্য হং পাও’ নামে একটি দুষ্প্রাপ্য গাছের পাতা থেকে এই চা তৈরি হয়। এই পাতা উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন। এর দুষ্প্রাপ্যতা আর ঔষধিগুণের জন্যই এই চায়ের এত দাম! এই চায়ে পাওয়া যায় এক ধরণের ফুলের স্বাদও। প্রসঙ্গত, দা হং পাও-এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক ইতিহাস। চিনের এক মিং রাজার মায়ের অসুখে, যখন সব চিকিৎসা ব্যর্থ, জীবন বাঁচিয়েছিল এই চা-ই। তাই বলা হয় এটি ভীষণ দামী।