টিভি চ্যানেল বা সংবাদপত্র খুললেই যুদ্ধ, হিংসা, দুর্নীতি, হানাহানির খবর। অনেকসময় দেখা যায় ভালো ঘটনা তেমন গুরুত্ব দিয়ে না ছাপলেও খারাপ নেতিবাচক খবর ফলাও করে ছাপানো হয়। সেই কারণেই অনেকেই পত্রিকা পড়েন না বা টিভিতে সংবাদই দেখন না। সেই সমত মানুষদের জন্য এমিলি কক্সহেড চালু করেছেন ‘দ্য হ্যাপি নিউজ’।যেখানে থাকবে শুধু ভালো খবর।
এক রিপোর্টে জানা যায়, পত্রপত্রিকায় আর সামাজিক মাধ্যমে যুদ্ধ, সহিংসতা, দুর্ঘটনার খবর দেখতে দেখতে যুক্তরাজ্যের নাগরিক এমিলি কক্সহেড মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন একসময়। তখনই তার মাথায় চিন্তা আসে নতুন একটি পত্রিকা করার যেখানে কোনো দুঃখজনক ঘটনার খবর থাকবে না, থাকবে শুধু ইতিবাচক সংবাদ।সেই চিন্তা থেকেই ২০১৫ সালে মিজ কক্সহেড ‘দ্য হ্যাপি নিউজ’ নামে পত্রিকার জন্য তহবিল সংগ্রহ করা শুরু করেন।
এটি ৩২ পৃষ্ঠার সম্পূর্ণ রঙিন একটি পত্রিকা, যার পুরোটা জুড়েই থাকে শুধু ইতিবাচক খবর। তবে এটি কোনো দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক নয়- এটি একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা। কারণ, রোজ রোজ একটা ৩২ পৃষ্টার পত্রিকা ভরার মতো অত ভাল ভাল খবর পাওয়া সহজ কথা নয় মোটেই।তবে খবরের কাগজ সাধারণত ম্যাড়মেড়ে হয় এবং ততটা রঙিনও হয় না। এই পত্রিকাটি এর ঠিক বিপরীত।
কক্সহেড ২০১৫ সালে তার পরিকল্পনা অনুযায়ী হ্যাপি নিউজের মূল পাতাটি কেমন হবে তার নকশা তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন এবং লেখেন ‘কল্পনা করুন এরকম একটি পত্রিকা যদি বাস্তবে থাকতো।’পোস্টটি দেখে বেশ কয়েকজন তাকে উৎসাহ দেন পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।তখন থেকেই তিনি এই পত্রিকার কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন এবং তার এই পত্রিকা মানুষের হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
কক্সহেড বলেন, আমি এবং পত্রিকার পাঠকরা এটি হাতে হাতে ছড়িয়ে দেই। প্রতিবেশী বা বন্ধুর কাছে দেওয়া, ট্রেন বা বাসে রেখে আসার মাধ্যমেই এটি নানা শ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছে যায়।
কক্সহেড বলেন, এই কয়েক বছরের মধ্যে পাওয়া সবচেয়ে মজার খবরটি এসেছিল অস্ট্রেলিয়া থেকে। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তি কয়েকটি আহত পেঙ্গুইনের জন্য জামা বুনেছিলেন। সেটির ছবি এবং কার্টুন ছাপা হয়েছিল পত্রিকায়।সেই খবরটি তার কাছে মনে হয়েছে পত্রিকায় এখন পর্যন্ত ছাপা হওয়া সবচেয়ে মজার খবর।
কক্সহেড মনে করেন, প্রতিদিন পৃথিবীতে ভয়াবহ সব ঘটনা ঘটছে। আমি সেগুলো আড়াল করতে চাইছি না। কিন্তু আমি মনে করি আমাদের ভালো জিনিসগুলো সম্পর্কেও জানা উচিৎ।