Ghosts: কেউ এসেছে?… ভূতের অস্তিত্ব নিয়ে নতুন গবেষণার চমকে দেওয়া রিপোর্ট

ভূতের (Ghosts) অস্তিত্ব আছে কি নেই এমন বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে অনেকেই।‌ অনেকে আবার কুসংস্কার বলে হেসে উড়িয়ে দেয়। গভীর রাতে অশীরীরী কন্ঠস্বর, আওয়াজ, মেরুদন্ড বেয়ে…

Existence of Ghosts

ভূতের (Ghosts) অস্তিত্ব আছে কি নেই এমন বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে অনেকেই।‌ অনেকে আবার কুসংস্কার বলে হেসে উড়িয়ে দেয়। গভীর রাতে অশীরীরী কন্ঠস্বর, আওয়াজ, মেরুদন্ড বেয়ে শীতল স্রোত বয়ে যাওয়া। প্রত্যেক মানুষের জীবনে দু একবার ঘটে। যার কোনো ব্যাখ্যা হয়না। সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানীরা প্যারানরমাল ঘটনার পিছনে মানসিক ও পরিবেশগত বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে। যেখানে মানুষের ভূত দেখার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশানাল হেলথ সার্ভিসের তথ্য মতে, স্লিপ প্যারালাইসিস ঘুমের একটি বিশেষ পর্যায় যখন মানুষের মস্তিষ্ক শরীরকে নড়াচড়ার সংকেত দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এসময় মানুষ রাপিড আই মুভমেন্টে পৌছায়।

   

যখন হঠাৎ জেগে উঠলেও নড়াচড়া সম্ভব হয় না। কোনো‌ ব্যক্তি এমন ঘটনার শিকার হলে তার মনে হতে পারে কেউ তাকে চেপে ধরেছে। এই সময় মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে আর সবচেয়ে বেশি স্বপ্ন দেখে। একে বলে দৃষ্টিভ্রম বা হ্যালুশিয়েসন, যা মানুষকে ভূত দেখার অনুভূতি দেয়। নিউইয়র্কের ক্লার্কসুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন রজার্স তিনি লক্ষ্য করেন ফাংগাস এর চিহ্ন আছে এমন স্থানে মানুষের ভূত দেখার অভিজ্ঞতা বেশি হয়। তথ্য অনুসারে, শ্বাসকষ্ট ও চোখের জ্বালার কারণে অনেক সময়ই স্যাঁত স্যাঁতে ব্লিডিং-এ জমে থাকা ফাংগাস কালো অবয়ব হিসেবে ফুটে ওঠে। হঠাৎ দেখলে ভয় ধরাতে পারে।

এক অনুষ্ঠানে ক্রিস বলেন, কোনো মানুষ ভূত দেখেছেন এমন চিন্তার পিছনে বিশ্বাস, পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও দৃষ্টিভ্রমের মতো মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো কাজ করে। এখানে ভূত আছে বলা হলে, সেখানকার প্রতিটি শব্দই নজর কাড়ে। মানুষ ভূত শব্দ শুনলে মাথায় অবয়ব কল্পনা করে। ঠিক মতো ঘুম না হলে ও অত্যাধিক মানসিক চাপেও ভূতের অনুভূতি লক্ষ্য করেন।

ভূতের অস্তিত্ব অনুভবের পিছনে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা রয়েছে, অনেক সময় ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড মানুষের মস্তিষ্কে সংকেত পাঠিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যাতে দৃষ্টিভ্রম সৃষ্টি হয়। আবার, ১৯ হার্জ ফ্রিকোয়েন্সির কাছাকাছি কোনো শব্দ মানুষের চোখের মণিতে একধরনের কম্পন সৃষ্টি করে, যাতে দৃষ্টিভ্রম সৃষ্টি হয়। ভূত দেখার পিছনে এটিও একটি কারণ বলে মনে করেছেন বিজ্ঞানীরা।