বিমানবন্দরে নগ্ন মহিলার তাণ্ডবে রক্তারক্তি কান্ড! দেখুন ভাইরাল ভিডিও

টেক্সাসের ডালাস ফোর্থ ওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Texas Airport) কয়েকদিন আগে এক অদ্ভুত ও হতবাক করা ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video)…

Viral Video of Texas Dallas Fort Worth Airport Woman

টেক্সাসের ডালাস ফোর্থ ওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Texas Airport) কয়েকদিন আগে এক অদ্ভুত ও হতবাক করা ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video) হয়ে উঠেছে। সামান্থা পালমা নামের এক মহিলা (Woman) বিমানবন্দরে প্রবেশের পর হঠাৎই নিজের সমস্ত জামাকাপড় খুলে ফেলেন। শরীরে লেশমাত্র সুতো পর্যন্ত না রেখে তিনি সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে গোটা চত্বরে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন। এখানেই শেষ নয়, তারপর তিনি উন্মাদের মতো আচরণ শুরু করেন কখনও যাত্রীদের গায়ে জল ছুঁড়তে থাকেন, এমনকি বিমানবন্দরের একটি টেলিভিশন ভেঙে ফেলেন এবং কর্মীদের উপর আক্রমণ চালান।

পালমা নিজেকে ‘ভেনাস’ বলে পরিচয় দিচ্ছিলেন, যিনি গ্রিক পুরাণে প্রেম ও সৌন্দর্যের দেবী। তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, “আমি ভেনাস!” এবং বিকট অঙ্গভঙ্গি করে নাচতে শুরু করেন। বিমানবন্দরের দুই কর্মী তাকে আটকাতে এগিয়ে গেলে তিনি হাতে থাকা একটি সূচালো পেনসিল দিয়ে তাদের গায়ে আঘাত করেন। এমনকি, এক রেস্তোরাঁর ম্যানেজার তাকে শান্ত করতে গেলে তিনি তার গায়ে কামড়ে দেন। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

   

Advertisements

ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি পালমাকে একটি কোট দিয়ে শরীর ঢাকতে চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ না করে দৌড়ে পালিয়ে যান এবং এলোমেলোভাবে যাত্রীদের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করতে থাকেন, “তুমি কে?” তার এই আচরণে বিমানবন্দরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের প্রতিবেদন অনুসারে, অনেক চেষ্টার পর তাকে টার্মিনাল ডি-এর গেট ডি১-এ একটি জরুরি দরজার পিছনে লুকিয়ে থাকতে দেখা যায়। সে সময় তার গোটা শরীর রক্তে ভেজা ছিল, তবে সেই রক্ত তার নিজের নয় বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ অবশেষে অনেক কষ্টে পালমাকে হেফাজতে নেয়। তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেন, সেদিন তিনি ওষুধ খেতে ভুলে গিয়েছিলেন, যার ফলে তার এমন আচরণ। তিনি আরও বলেন, তিনি তার ৮ বছরের মেয়ের সঙ্গে বিমানবন্দরে এসেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, পালমা শুধু ভেনাস নয়, নিজেকে ডিজনি রাজকুমারী এরিয়েল এবং পোকাহোন্টাস বলেও পরিচয় দিয়েছিলেন। এই দাবিগুলো তার মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

এই ঘটনা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও যাত্রীদের মধ্যে হতবাক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। পালমার আচরণ শুধু অদ্ভুতই নয়, বিপজ্জনকও ছিল। তিনি যেভাবে কর্মীদের আক্রমণ করেছেন এবং রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে কামড়েছেন, তা থেকে বোঝা যায় তার মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল না। পুলিশ এখন তদন্ত করছে, তার এই আচরণের পিছনে আরও কোনো কারণ আছে কিনা। তাই এই ঘটনা বিশ্বব্যাপী শিরোনাম হয়ে উঠেছে।