Salute: মানবসেবা রাস্তাতেই চিকিৎসা করেন ‘ডাক্তারবাবু’

Special Correspondent, Kolkata: না, তাঁর কোনও চেম্বার নেই। টাকা পয়সার চাহিদা নেই। শুধু মানুষের সেবা করতে জানেন। পথে ঘাটে যাকে অসুস্থ দেখেন তাঁর চিকিৎসা করেন।…

Madhusudan Bag

Special Correspondent, Kolkata: না, তাঁর কোনও চেম্বার নেই। টাকা পয়সার চাহিদা নেই। শুধু মানুষের সেবা করতে জানেন। পথে ঘাটে যাকে অসুস্থ দেখেন তাঁর চিকিৎসা করেন। এমনই বাগনানের স্কুল শিক্ষক মধুসূদন বাগ (Madhusudan Bag)।

তাঁর সঙ্গী একটি ছোট্ট ব্যাগ। যাতে চিকিৎসার সরঞ্জাম রয়েছে। রাস্তাতেই মানুষকে তাঁর পরিষেবা দেন । করোনা জয় করতে গেলে যে নিজের শরীর ফিট রাখতে হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে, এতদিনে এই বিষয়টি জেনে গিয়েছে আট থেকে আশি সবাই। চিকিৎসকদের মতে, প্রাথমিক ভাবে আপনি সুস্থ কিনা তা জানার জন্য প্রেশার, পালস, সুগার ঠিক আছে কিনা জানতে হবে। তাহলে মোটামুটি ভাবে আপনি সুস্থ কিনা জানতে পারবেন।

এই পরিস্থিতিতে হাওড়ার বাগনান থানার দেউল গ্রামের বাসিন্দা আদতে পেশায় শিক্ষক মধুসূদন বাগ এক নজির তৈরি করেছেন। যেখানেই যান, সঙ্গে একটি ছোট ব্যাগ রাখেন। ব্যাগে থাকে প্রেশার মাপার যন্ত্র থেকে শুরু করে ডেটল পর্যন্ত। সরবিট্রেট সহ কিছু ওষুধও রাখেন। যাতে পথে ঘাটে কেউ বিপদে পড়লে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে পারেন।

জানা গিয়েছে, পেশায় প্রাথমিক স্কুলের মধুসূদন বাগের বয়স পঞ্চান্ন। বাড়ি হাওড়া জেলার বাগনান থানার দেউলগ্রামে। পরিবারে এক ছেলে ও স্ত্রী রয়েছেন। গ্রামের পাশে ডি এম বি স্কুলে পড়াশোনা করার সময়েই সমাজসেবার কাজে যুক্ত হন। মানুষের জন্য করা টুকটাক কাজ গুলি করে যে আত্মতৃপ্তি আসে তা কখন নেশায় পরিনত হয়েছে তা বুঝতে পারেননি তিনি। গ্রামে চিকিৎসার অভাব রয়েছে। পাশের মানকুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভিড়ে থিকথিক করে। মনোযোগ দিয়ে চিকিৎসা দেখেন মাঝে মধ্যে। পরে এক চিকিৎসকের পরামর্শে তার কাছ থেকেই শেখেন প্রেশার মাপা, পালস দেখা, স্যালাইন দেওয়া ইত্যাদি। আপদকালীন পরিস্থিতির জন্য জেনে নেন কিছু ওষুধ।

এরপর তা ব্যাগে ভরে সাইকেল চেপে গ্রাম থেকে গ্রামে অবসর সময়ে ঘুরে বেড়ান। রাস্তাঘাটে বিপদে পড়লেই এগিয়ে যান তিনি। কিন্তু নিজেকে চিকিৎসক বলতে নারাজ মধুসূদনবাবু। সাফ জানান, “আমি একজন শিক্ষক। চিকিৎসার যে টুকু জানি তাতে আপাতত সামলে দেওয়া যাবে। করোনার এই সময়ে আপাতত প্রেশার, সুগার, পালসটুকু ঠিক থাকলে অনেকটাই সুস্থ বলে ভাবা হবে।” তাই পথ চলতে এটুকু দেখলেই রোগীকে মানসিক শক্তি দেওয়া হবে। “আর মধু বাবুর এ হেন কাজ কে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলে।