Rain Temple: এদেশে আছে আজব ‘বৃষ্টি মন্দির’, আবহাওয়ার বার্তা দেয়

সব মন্দির আর তার বিগ্রহ ঘিরে কিছু না কিছু লোকশ্রুতি থাকেই। কিছুটা কাহিনি আর অনেকটা বিশ্বাস দিয়েই তৈরি সেসব গল্পগাঁথা। তবে ইএ দুইয়ের বাইরে ভারতবর্ষে…

ghatampur-rain-temple

সব মন্দির আর তার বিগ্রহ ঘিরে কিছু না কিছু লোকশ্রুতি থাকেই। কিছুটা কাহিনি আর অনেকটা বিশ্বাস দিয়েই তৈরি সেসব গল্পগাঁথা। তবে ইএ দুইয়ের বাইরে ভারতবর্ষে এমন কিছু মন্দির আছে যার অদ্ভূতত্ব চাক্ষুস করা যায়। দেবমাহাত্ম অথবা বিজ্ঞান, কারণ যাই হোক না কেন, এই মন্দির গুলি নিসঃন্দেহে চমকপ্রদ। আজ রইল এমনই এক মন্দিরের (Rain Temple) কথা। 

বৃষ্টি মন্দির
মন্দিরটি সম্রাট অশোকের আমলে তৈরি। দেখতে অনেকটা বৌদ্ধ মন্দিরের ধাঁচের। ভেতরে অধিষ্ঠিত প্রভু জগন্নাথ। তবে ঘতমপুরের কৃষকদের কাছে মন্দিরটি হাওয়া-অফিস।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ভিতরগাঁও বেহাতার ঘতমপুর এলাকায় রয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন এক মন্দির। ফি বছর রথযাত্রায় সেই মন্দির ঘিরে আয়োজন করা হয় বিরাট উৎসবের। সোজা রথ থেকে উল্টো রথ টানা সাতদিন ধরে চলে মেলা। আর বছরভর এই মন্দির স্থানীয়দের কাছে হাওয়া অফিস। পূর্বাভাস দেয় বৃষ্টির। গ্রামের লোকের বিশ্বাস বৃষ্টি হবে কি হবে না, বৃষ্টি হলে তা ভারী বর্ষণ হবে নাকি মাঝারি। এমনকি বৃষ্টি গ্রাম ভাসাবে নাকি ছিটেফোঁটা-সব কিছুর আগাম বার্তা দেয় এই মন্দির। যে কারণে এই মন্দিরকে এলাকাবাসীরা ‘বৃষ্টি মন্দির’ নামে ডাকেন।

তবে এই বিশ্বাস শুধু মনে নয়, এর পিছনে কিছু কারণও রয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, বর্ষা আসার আগে প্রখর রোদের মধ্যেও এই মন্দিরের ছাদ থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে জল পড়তে থাকে। আর এই পূর্বাভাস দিনের দিন নয়, ৬-৭ দিন আগে থেকেই এই মন্দির দেয়। ছাদ থেকে চুঁইয়ে পড়া জলের বিন্দু দেখেই স্থানীয়রা বুঝতে পারেন কেমন বৃষ্টি হবে। আর আশ্চর্যের বিষয়, বৃষ্টি নামলেই মন্দিরের ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়া এক্কেবারে বন্ধ হয়ে যায়।