Kiwi Chick: যেন বিশ্বকাপ এসেছে ঘরে! ১৫০ বছর পর বুনো কিউই ছানা পেল নিউজিল্যান্ড

১৫০ বছরেরও বেশি সময় পর নিউজিল্যান্ডে জন্ম নিল প্রথম ওয়াইল্ড কিউইর দুটি ছানা। নিউজিল্যান্ডের জাতীয় পাখির সংরক্ষণ প্রচেষ্টার একটি বড় উত্সাহ হিসাবে, সংরক্ষণবাদীরা ১৫০ বছরেরও…

১৫০ বছরেরও বেশি সময় পর নিউজিল্যান্ডে জন্ম নিল প্রথম ওয়াইল্ড কিউইর দুটি ছানা। নিউজিল্যান্ডের জাতীয় পাখির সংরক্ষণ প্রচেষ্টার একটি বড় উত্সাহ হিসাবে, সংরক্ষণবাদীরা ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওয়েলিংটনে প্রথম ওয়াইল্ড কিউই (wild Kiwi) জন্ম নিবন্ধন করেছেন।

সংরক্ষণকারীরা নিউজিল্যান্ডের রাজধানীতে দুটি বাদামী কিউই ছানা খুঁজে পেয়েছেন যেখানে এক বছর আগে ক্যাপিটাল কিউই প্রকল্পটি পুনরায় চালু করা হয়েছিল। ওয়েলিংটনের শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র ২৫ মিনিট দূরে মাকারায় কিউই ছানাগুলি পাওয়া গেছে। তাদের জন্মের কারণে এই অঞ্চলে কিউই পাখির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫।

ক্যাপিটাল কিউই প্রকল্পের (Capital Kiwi Project) অধীনে, ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে দুটি নবজাতক কিউই ছানাকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল “ওয়েলিংটনের বাড়ির উঠোনে বিশাল আকারের ওয়াইল্ড কিউই জনসংখ্যা পুনরুদ্ধার করা।” প্রজেক্টের লক্ষ্য কিউইদের প্রবর্তিত শিকারিদের থেকে রক্ষা করা।

কিউই পাখি উড়তে পারেনা। এই পাখিটি দ্বীপের দেশটির সংস্কৃতি এবং পরিচয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ গঠন করে। এক সময়ে নিউজিল্যান্ডে প্রায় ১২ মিলিয়নের বিশাল জনসংখ্যা ছিল।

‘সেভ দ্য কিউই’ সংস্থার মতে, বর্তমানে পাখির সংখ্যা প্রায় ৬৮,০০০। নিউজিল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অফ কনজারভেশন অনুসারে, কিউই জনসংখ্যা বছরে গড়ে ২% হারে হ্রাস পাচ্ছে, বেশিরভাগই স্টোটস, বিড়াল, কুকুর এবং ফেরেটের মতো শিকারীদের কারণে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই কিউইদের জন্য ব্যাপক হুমকি দেখা দেয়। সিএনএন-এর একটি প্রতিবেদন যা ‘সেভ দ্য কিউই’ উদ্ধৃত করেছে, নিউজিল্যান্ডে ৯৫% ওয়াইল্ড কিউইদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই হত্যা করা হয়।

ক্যাপিটাল কিউই প্রকল্প দলের নেতা পল ওয়ার্ড এই বছরের শুরুর দিকে সিএনএনকে বলেন, “সত্যিই একটি প্রাপ্তবয়স্ক কিউইর জন্য একমাত্র সমস্যা হল কুকুর। লড়াইয়ের ওজন হয়ে ওঠার আগেই ছানা কিউইদের খেয়ে নেয় কুকুর,স্টোটস ইত্যাদি।“