Indo-Pak War : বিস্ফোরণে গভীর ক্ষত, ছুরি দিয়ে নিজের পা কেটে বাদ দিলেন বীর জওয়ান

“তোমার খুকরিটা কোথায়?” জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমার গোর্খা বন্ধুকে। “আমারটা পা-টা কেটে ফেলো।” ও না করে দিল। ছুরি বের করে আমি নিজেই কেটে ফেললাম আমার পা।…

Indo-Pak War

“তোমার খুকরিটা কোথায়?” জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমার গোর্খা বন্ধুকে। “আমারটা পা-টা কেটে ফেলো।” ও না করে দিল। ছুরি বের করে আমি নিজেই কেটে ফেললাম আমার পা। “এবার মাটি চাপা দিয়ে দাও, বাংলাদেশের মাটিতে (Indo-Pak War) থাকুক আমার একটা অংশ।” 

১৯৭১ সালে ইন্দো-পাক যুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন মেজর জেনারেল ইয়ান কারডোজা (Ian Cardoza)। ল্যান্ড মাইনে পা রেখে দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ। মারাত্বক জখম হলেন তিনি। এরপর সহযোদ্ধার সঙ্গে উপরোক্ত কথোপথন। 

   

স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকশ করেছিল বাংলাদেশ। স্বপ্ন সত্যি হয়েছিল ইয়ান কারডোজার। সেনা পদকে ভূষিত করা হয়েছিল তাঁকে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকর দিয়েছিলেন। প্রতিবেদনে লেখা রয়েছে, নিজের পা কেটে বাদ দেওয়ার ঘটনা বলতে বলতে হেসে ফেলেছিলেন তিনি। যেন সামান্য কোনো ঘটনা! “আমি চাইনি আমার অক্ষমতা সহযোদ্ধাদের সমস্যার কারণ হোক।”

Indo-Pak War

ভারত স্বাধীনতা পাওয়ার পরেও সমস্যায় ছিল বাংলাদেশ। পূর্ব পাকিস্তানের ইতিহাস বহু আলোচিত, বহু বিস্তৃত। ভারতের সাহায্যে নতুন উদ্যোমে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তি বাহিনী। তৃতী়বারের জন্য যুদ্ধ। লড়াই চলেছিল তেরো দিন। স্থলপথ, জলপথ, আকাশ পথে ধোঁয়া, বারুদের গন্ধ। 

“বিশ্বযুদ্ধের গল্প এবং আমার স্কুলের সিনিয়র সুনীত রড্রিগেস আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল। স্কুলের সেই সিনিয়র পরে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। এবং সফলতা অর্জন করেছিলেন। জন মাস্টার্সের ‘বুগলস অ্যান্ড এ টাইগার’ গোর্খা রেজিমেন্টকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে আরও সহজ করে দিয়েছিল,” কার্ডোজো বলেছেন। যিনি প্রথম জাতীয় প্রতিরক্ষা অ্যাকাডেমির ক্যাডেট ছিলেন। সর্বোত্তম বীরত্বের পরিচয় এবং যোগ্যতার জন্য স্বর্ণ এবং রৌপ্য পদক পেয়েছিলেন।