আম্বানির বাড়িতে কাজের লোক চাই, IAS মানের কঠিন পরীক্ষায় পাশ করলেই বিপুল বেতন

আম্বানির বাড়িতে কাজ করতে চাইলে দিয়ে হয় IAS এর মত কঠিন পরীক্ষা। যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তাকে মাসে মাসে দেওয়া হয় লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন।…

আম্বানির বাড়িতে কাজ করতে চাইলে দিয়ে হয় IAS এর মত কঠিন পরীক্ষা। যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তাকে মাসে মাসে দেওয়া হয় লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন। ধনকুবের মুকেশ আম্বানির নেই অর্থের অভাব। যার কারণে তিনি খুবই বিলাসবহুল জীবনযাপন করে থাকেন।

মুম্বাইতে অবস্থিত তার বাড়ির নাম অ্যন্টিলিয়া। তার বাড়িতে রয়েছে ৬০০ জনেরও বেশি কর্মচারী। তারা ২৪ ঘন্টা তাদের কাজের প্রতি সজাগ থাকে। পাশাপাশি তারা বেতন পান কয়েক লক্ষ টাকা। তার বাড়িতে কাজ করা কর্মচারীরা যে টাকা বেতন পায় তা বড় কোম্পানিতে কাজ করা ব্যক্তিরাও আয় করতে পারবেন না। তবে কেউ ইচ্ছে করলেই এখানে কাজের সুযোগ পায় না।

মুকেশ আম্বানির বাড়িতে চাকরি করতে গেলে দিতে হয় কঠিন পরীক্ষা। প্রার্থীদের প্রথমে ফর্ম পূরণ করতে হয়। তারপর যারা ফর্ম পূরণ করেছেন তাদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। এই পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত প্রশ্ন করা হয়। এই পরীক্ষায় যারা নির্বাচিত হয় তাদের পরবর্তী পর্যায়ের জন্য নির্বাচন করা হয়। মুকেশ আম্বানির বাড়িতে প্রায় শতাধিক গাড়ি রয়েছে তার জন্য আলাদা আলাদা চালক দরকার হয়।

আম্বানির বাড়ির গাড়ির চালক হওয়াও বহু কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বিভিন্ন কোম্পানিকে ড্রাইভার এর জন্য চুক্তি দেওয়া হয়। তারপরে একাধিক চুক্তির মাধ্যমে ড্রাইভার নির্বাচন করা হয়। মুকেশ আম্বানির ড্রাইভারের বেতন প্রতিমাসে প্রায় দু লক্ষ টাকা।

ওই বাড়িতে কর্মরত সকল কর্মচারীদের বেতন ও জীবনযাপন কেমন তা সহজে অনুমান করা যায়। জানা গিয়েছে যারা বাড়ির ভেতরে রান্নাবান্না করেন তাদেরকে প্রতি মাসে দেওয়া হয় আড়াই লক্ষ টাকা। মুকেশ আম্বানির বাড়িতে রাঁধুনিকে থাকার জন্য আলাদা ঘর রয়েছে। আবার কাজ শেষে চাইলে বাড়িও ফিরে যেতে পারেন।

তবে প্রধান রাঁধুনিকে থাকতে হয় অ্যন্টিলিয়াতেই। আম্বানি পরিবারের রন্ধন শিল্পীদের যাতায়াতের জন্য আলাদা আলাদা গাড়ি রয়েছে। শুধু তাই নয় তাদের মাসিক বেতনের পাশাপাশি জীবন বীমা, শিক্ষা ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে সকল সুযোগ-সুবিধা যেকোনও ফার্স্ট ক্লাস অফিসার কেও হার মানাবে।

তার বাড়িতে কর্মরত ব্যক্তিদের পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে থাকেন মুকেশ আম্বানি। এই সুবাদে মুকেশ আম্বানির বাড়িতে কর্মরত ব্যক্তিদের ছেলেমেয়েরা বিদেশেও পড়াশোনা করার সুযোগ পায়। তার বাড়িতে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে কখনোই দুর্ব্যবহার করে না মুকেশ আম্বানি। এমনকি তাদের সঙ্গে অন্য কেউ খারাপ ব্যবহার করলে তাদেরও কড়া কথা শোনাতে পিছপা হয় না আম্বানি।

শোনা গিয়েছে একবার নিজের ছেলের জন্য বাড়ির চৌকিদারের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল মুকেশ আম্বানিকে। সেই অনুষ্ঠানে তার বড় ছেলে আকাশ আম্বানি বাড়ির চৌকিদারের সঙ্গে ভীষণ খারাপ ব্যবহার করে। আকাশ আম্বানির এই ধরনের আচরণ নজরে পড়ে বাবা মুকেশ আম্বানির। এই নিয়ে তিনি চৌকিদারের কাছে ক্ষমা চায় এবং আকাশ আম্বানিকে শাসন করে।