Meghalaya: চেরি আভায় গোলাপি শিলং, বাঙালি ভুলেছে ‘মেঘালয়’ স্রষ্টা এস পি চ্যাটার্জিকে

শিলং- মেঘালয়ের রাজধানী শহরটি বাঙালির ছোট্ট স্লিগ্ধ ‘উপনিবেশ’ বলাই যায়। এই শিলং জুড়ে এখন প্রকৃতির গোলাপি আভা ছড়িয়ে আছে। মেঘের দেশ মেঘালয়ের ভূবন বিখ্যাত চেরি…

শিলং- মেঘালয়ের রাজধানী শহরটি বাঙালির ছোট্ট স্লিগ্ধ ‘উপনিবেশ’ বলাই যায়। এই শিলং জুড়ে এখন প্রকৃতির গোলাপি আভা ছড়িয়ে আছে। মেঘের দেশ মেঘালয়ের ভূবন বিখ্যাত চেরি ফুল ফুটছে। শিলং শহর জুড়ে শুরু হয়েছে বিশ্বখ্যাত চেরি ব্লসম। মেঘালয় (Meghalaya) পর্যটন দফতর ও ভারতের পর্যটন মন্ত্রক বারবার চেরি ব্লসম (SHILLONG CHERRY BLOSSOM) প্রচার করছে। প্রতিবারের মতো এবারও চেরি উৎসব দেখতে দেশ বিদেশের পর্যটকরা আসছেন শিলং শহরে। আসছেন বাঙালিরাও। তবে তারা ‘আত্মবিস্মৃত জাতি’ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করছেন অবিরত। মেঘালয়ে চেরি উৎসব দেখতে আসা প্রায় কোনও বাঙালিই জানেন না এ রাজ্যের অপূর্ব সূন্দর নাম দিয়েছিলেন এক ভূতাত্বিক-ভূগোলবিদ এস পি চ্যাটার্জি (শিবপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়)।

মেঘালয়ের চেরি আভায় যত আলোচিত রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’ বইটির দুই চরিত্র অমিত ও লাবণ্য ততটাই বিস্মৃত এস পি চ্যাটার্জি। তিনি ছিলেন ক্যালকাটা জিয়োগ্রাফিক্যাল সোসাইটি র প্রতিষ্ঠাতা। এটি এখন জিয়োগ্রাফিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয় নামে পরিচিত। তাঁকে ভারতীয় ভূগোলের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়।তিনি মেঘালয় নামকরণ করেছিলেন।১৯৮৫ সাল তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হয়।

শিবপ্রসাদকে ভুলে যাওয়া বাঙালিরা মজে আছেন শিলংয়ের চেরি ব্লসমে। “প্রাচ্যের স্কটল্যান্ড” (Scotland of the East) নামে পরিচিত এই মনোরম হিল স্টেশনটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, দারুণ ল্যান্ডস্কেপ এবং ব্যস্ত নগর জীবনের এক অনন্য মিশ্রণ প্রদান করে। মেঘালয়ে প্রশংসা করার মতো অনেক কিছু আছে, কিন্তু চেরি ফুলের ফলে রাজ্যটিকে গোলাপী রঙে আবৃত দেখার সাথে কিছুই তুলনা হয় না।

মেঘালয়ের রাজধানী শহর শিলং চেরি ফুলের গোলাপি এবং বেগুনি রঙে ছেয়ে গেছে। চেরি ব্লসম ফেস্টিভ্যাল ২০১৬ সালে শুরু হয়ে এবং তারপর থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়। এবারের শিলং চেরি ব্লসম ফেস্টিভ্যাল ১৭ থেকে ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। শিলং-এর RBDSA স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে এবং উৎসবে সঙ্গীতশিল্পীদের অনুষ্ঠান থাকবে।শিলং চেরি ব্লসম ফেস্টিভ্যাল ২০২৩-এ থাকছেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত সংবেদন যেমন নে-ইয়ো, গ্র্যামি পুরস্কার বিজয়ী R&B শিল্পী, আইরিশ গায়ক রোনান কিটিং, ইংরেজী ডিজে এবং সঙ্গীত প্রযোজক জোনাস ব্লু, তাইওয়ান-ভিত্তিক ব্রাজিলিয়ান ডিজে কেনি মিউজিক, সানাম, এসআরএল, পিঙ্ক পান্ডা, এবং মেবা ওটিলিয়া, লু মাজাও এবং ব্লু টেম্পটেশনের মতো প্রতিভার কলাকুশলীরা।