Ganesh Chaturthi: বিশাল কেউটে পেটে বেঁধে গণেশ বলে আর খাব না আমি!

কর্ণাটকের সবুজ ঘেরা ঐতিহ্যবাহী শহর হাম্পি। প্রাচীন বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সময় থেকে হাম্পি বিশ্বের অন্যতম নগরী হিসাবে পরিচিত। ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে৷  হাম্পির স্মৃতিস্তম্ভগুলি, বিশেষ করে প্রাচীন মন্দিরগুলি পর্যটক, ইতিহাসবিদ এবং স্থাপত্য উৎসাহীদের হাতছানি দেয়।

Karnataka's Hampi Celebrates Ganesh Chaturthi

কর্ণাটকের সবুজ ঘেরা ঐতিহ্যবাহী শহর হাম্পি। প্রাচীন বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সময় থেকে হাম্পি বিশ্বের অন্যতম নগরী হিসাবে পরিচিত। ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে৷  হাম্পির স্মৃতিস্তম্ভগুলি, বিশেষ করে প্রাচীন মন্দিরগুলি পর্যটক, ইতিহাসবিদ এবং স্থাপত্য উৎসাহীদের হাতছানি দেয়।

যে মন্দিরগুলির জন্য হাম্পি অত্যন্ত প্রশংসিত হয় সেগুলির কথা বলতে গেলে, শশীভেকালু মন্দির একটি চমৎকার স্থান। মন্দিরটি গণেশের। একটি বিশাল মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে, যার উচ্চতা প্রায় ২.৪ মিটার কন্নড় ভাষায় শশিভেকালু মানে সরষে। সেই অর্থে এখানকার গণেশ সরষে শস্যর সাথে পরিচিত। মূর্তি চারদিকে বর্গাকার স্তম্ভ সহ একটি পাথরের মন্ডপ আছে। গণেশ মূর্তির ডান হাতে একটি অঙ্কুশ এবং বাম হাতে পাসা রয়েছে। তবে আসল চমক হলো একটি বিরাট সাপ! সেই সাপ গণেশের পেটে বাঁধা। এমন সাপ বাঁধা গণেশ বিশ্বে আর নেই।

পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, গণেশ খাবারের প্রতি ভালোবাসা সহ তার অদ্ভুত অভ্যাসের জন্য বেশ বিখ্যাত। গণেশের নাদুস নুদুস চেহারা এই কারণেই। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে একবার গণেশ এত বেশি খাবার খেয়েছিলেন যে তার পেট প্রায় ফেটে গিয়েছিল। এটা বন্ধ করার জন্য, তিনি একটি সাপ খুঁজে তার পেটে বেঁধেছিলেন। সেই সাপ বাঁধা গণেশ পরে ভাস্কর্যের রূপ দেন প্রাচীন হাম্পির শিল্পীরা।

পূরাতাত্বিক গবেষণায় উঠে এসেছে, শশীভেকালু গণেশ মূর্তিটি একটি বিশাল পাথরের টুকরো থেকে খোদাই করা হয়েছে। এর উচ্চতা প্রায় ৮ ফুট। চারপাশে তৈরি করা হয়েছে খোলা মণ্ডপ। কিছু শিলালিপি রয়েছে যা বণিকদের ব্যবসায়ীদের দ্বারা খোদাই করা। শিলালিপিটি ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের মনে করা হয় মূর্তিটি বিজয়নগর সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় রাজা নরসিংহের স্মরণে নির্মিত হয়েছিল। এই মন্দির এবং মূর্তিটি প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় ভাস্কর্য দক্ষতার অন্যতম সেরা নমুনা। শশীভেকালু মন্দিরের থেকে উত্তরে, গণেশের আরেকটি বিশাল মূর্তি রয়েছে, যা কদালেকালু গণেশ নামে পরিচিত।