বিশ্বযুদ্ধের পর নব্য তুরস্কের জন্ম দিয়েছিলেন এই মানুষটি

Special Correspondent, Kolkata: “ওই খেপেছে পাগলী মায়ের দামাল ছেলে কামাল ভাই/অসুর পুরে শোর উঠেছে জোরসে সামাল সামাল সামাল তাই/ কামাল তু নে কামাল কিয়া ভাই”…

Kamal pasha

short-samachar

Special Correspondent, Kolkata: “ওই খেপেছে পাগলী মায়ের দামাল ছেলে কামাল ভাই/অসুর পুরে শোর উঠেছে জোরসে সামাল সামাল সামাল তাই/ কামাল তু নে কামাল কিয়া ভাই” তুর্কী বীর কামাল পাশাকে নিয়ে বিদ্রোহী কবি কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা এই কবিতার অংশবিশেষ ছিল একসময়ের স্কুলের পাঠ্য বইয়ের অংশ। তুর্কির রাষ্ট্রনায়ককে ইতিহাস কতটা আর মনে রেখেছে!

   

পৃথিবীর যে অল্প কয়েকজন রাস্ট্রনায়ক জাতির ইতিহাস বদলে দিয়েছেন, স্বল্পতম সময়ে জাতিকে, পশ্চাতপদ জনগোষ্ঠীকে নিয়ে এসেছেন সামনের সারিতে, তাদের মধ্যে তুর্কী বীর কামাল পাশার অবস্থান সবার উপরে। তাই তো তার উপাধি আতা তুর্ক বা তুর্কীদের জনক। কামাল পাশা ছিলেন তুরস্কের জাতীয়তাবাদী নেতা,তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম প্রেসিডেন্ট।

তুরস্কের জাতির পিতা মুস্তফা কামাল পাশা। আতাতুর্ক বা তুরস্কের জাতির পিতা হিসেবে নন্দিত তিনি। তুরস্ক এক সময় ছিল বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ। ইউরোপের এক বড় অংশ ছিল তাদের অধীনে। সমগ্র আরব এমনকি আফ্রিকায়ও ছিল তুরস্কের অটোমান সাম্রাজ্যের বিস্তার। কালক্রমে তুরস্ক দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রথম মহাযুদ্ধে তুরস্কের পরাজয় দেশটির অস্তিত্ব বিপন্ন করে তোলে। এ অবস্থায় তুরস্কের পুনর্জন্ম দেন মুস্তফা কামাল পাশা। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করতে সক্ষম হন তিনি। গড়ে তোলেন আধুনিক তুরস্ক।

নব্য তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তফা কামাল পাশা জন্মগ্রহণ করেন এক চাষি পরিবারে। বাবা মারা যান ছোটবেলায়। চাচার পরিবারে ভেড়ার পাল চরাতে হতো কামাল পাশাকে। একপর্যায়ে চাচা তাকে ভর্তি করে দেন স্কুলে। সেখান থেকে কিছু দিন পর অভিভাবকদের না জানিয়ে ভর্তি হন সৈনিকদের স্কুলে। সেখানকার সেরা ছাত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন কামাল পাশা। তারপর যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। তুরস্কে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে তার নেতৃত্বে। ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলেন তিনি। পরপর চারবার দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন কামাল পাশা। আমৃত্যু তিনি এ পদে থেকে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।