আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তার পর সমুদ্রের বুকে ভাসবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রুস জাহাজ আইকন অফ দা সিজ (Icon of the Seas)। বিশাল আকারের এই জাহাজের ঝলক দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে, যে কারোর। বিনোদনের জন্য যা যা থাকা প্রয়োজন তা সবই পাবেন এই জাহাজে। রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের তৈরি এই বিশাল জাহাজের দৈর্ঘ্য ১২০০ ফুট।
বলা হয় টাইটানিকের তুলনায় এই জাহাজের ওজন প্রায় ৫ গুন ভারী। এর মোট ওজন ২ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টন। এতে রয়েছে কুড়ি রকমের ডেক। প্রাপ্ত বয়স্কদের সময় কাটানোর জন্য রয়েছে বিশেষ জায়গা। সঙ্গে রয়েছে, বিশাল ওয়াটার পার্ক সঙ্গে রেকর্ড ব্রেকিং ছয়টি ওয়াটার স্লাইড। থাকবে ৭ টি পুল।
এই জাহাজটিতে থাকতে পারবে ৭৬০০ জন যাত্রী। ২০৫০ জনের পৃথকভাবে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রা শুরুর পর যাত্রী সংখ্যা আরো বাড়তে পারে জানিয়েছেন, রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল সংস্থা। জাহাজটিতে ২৮ ধরনের বিভিন্ন রকমের কেবিন রয়েছে। ২০% কক্ষে তিন বা তার বেশি অতিথি থাকতে পারবে। ৭০ শতাংশ কক্ষের সঙ্গে থাকছে বারান্দা। যেখানে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের সীমাহীন নীল সমুদ্র উপভোগ করা যাবে।
জাহাজটির সামনের দিকে অ্যাকোয়াডোম রয়েছে। দেখা যাবে ৫৫ ফুট জলপ্রপাত। দেখা যাবে ২২০ ডিগ্রি ভিউ। বিশ্বে প্রথম এলএনজি চালিত জাহাজটিতে ব্যবহার করা হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। জাহাজটিতে একটি উঁচু ও খোলা পাঁচ ডেক সেন্ট্রাল পার্ক রয়েছে। প্রচুর গাছপালা রয়েছে সেখানে।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ফিনল্যান্ডের মেয়র তুর্কুশ সিবিআরযে জাহাজটি তৈরি করার কাজ শুরু করে। সেখান থেকেই এই বিশালাকার জাহাজটির ট্রায়াল রান হয়েছে। জুয়েল রানিং কয়েকশো পথ ভ্রমণ করেছে আইকন অফ দা সিজ। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে ২৭ জানুয়ারি জাহাজটি পাড়ি দেবে বিশাল সমুদ্রে। জানা গিয়েছে ৭ দিনের ক্যারিবিয়ান নাইটের জন্য জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ৭৫০ ডলার করে।
২০২২ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এর টিকিট বুকিং। তখন থেকেই মাথাপিছু টিকিটের দাম ছিল ১৫৩৭ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম ১ লাখ ২৮ হাজার ১৩৫ টাকা। এখানেই সবচেয়ে দামি সুইটের দাম ১০ হাজার ৮৬৪ ডলার। আগামী বছর ফ্লোরিডার মায়ামি থেকে এই ক্রুস যাত্রা শুরু করবে। গন্তব্য পূর্ব এবং পশ্চিম ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ।