শুধু ভারত নয় গোটা বিশ্বে বিয়ে মানে যেন একটা উৎসব।নাচ-গান, খাওয়া-দাওয়া, আলোর রোশনাই কতকিছু। মেয়ে পক্ষ তাদের সারা জীবনের উপার্জন বিনিয়োগ করে তাদের মেয়েকে বিয়ে দেয়। জামাই যাই করুক শ্বশুর বাড়িতে তাকে পূর্ণ সম্মান দেওয়া হয়। জামাই শ্বশুর বাড়িতে আসলে কোন কিছুর অভাব হতে দেওয়া হয় না। সকালের নাস্তা থেকে রাতের খাবার পর্যন্ত জামাইয়ের পছন্দ অনুযায়ী সব কিছু হয়। প্রায় সব জায়গায় জামাইকে এভাবে বরণ করা হয়। কিন্তু ভারতেই রয়েছে একটি উপজাতি ঠিক তার বিপরীত কাজ করে।
ভারত খুব বড় দেশ। এখানে নানা ভাষা, জাতি ধর্মের মানুষ বাস করে। সময়ের সঙ্গে অনেক জাতির মানুষ আছেন তাদের নিয়মের পরিবর্তন এনেছেন। তবে ভারতে এমন কিছু উপজাতিও রয়েছে এখনও তাদের নিয়ম এবং ঐতিহ্য অনুসরণ করে চলেছে। তাদের সুরক্ষায় সরকারও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। এমন অনেক উপজাতিও রয়েছে, যা সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই জানে না। আজ আমরা আপনাদের এমনই একটি গোত্রের কথা বলতে যাচ্ছি। এই গোত্রের কিছু নিয়ম এত অদ্ভুত যে আপনি নিজেই তা বিশ্বাস করতে পারবেন না।
মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে বসবাসকারী গোন্ড উপজাতির কথা অনেকে শুনেছেন হয়তো। এই জাতির মানুষদের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন উপজাতির মধ্যে গণ্য করা হয়। এই উপজাতির মানুষরা এখনও তাদের ঐতিহ্যকে আন্তরিকভাবে অনুসরণ করে আসছে। বিশেষ করে বিবাহ সংক্রান্ত নিয়ম। এই উপজাতির বিয়ের নিয়ম একেবারেই আলাদা। প্রতিটি বিয়ের মতো এখানেও প্রচুর নাচ-গান হয় কিন্তু কিছু নিয়ম আছে যা বেশ চমকপ্রদ। বিশেষ করে যদি একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে প্রেম করে বিয়ে করে।
ভারতে যেখানে জামাইকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়, সেখানে এই উপজাতিতে দম্পতি যদি প্রেম করে বিয়ে করতে চান, তবে ছেলেকে প্রথমে তার শ্বশুরের খামারে কাজ করতে হবে। শ্বশুর যখন মনে করেন যে ছেলেটি সত্যিই কঠোর পরিশ্রমী, তখনই তিনি বিয়ের অনুমতি দেন। শুধু তাই নয়, ছেলেকে শুয়োরের রক্ত পান করে শ্বশুরকে বোঝাতে হয় যে সে তার মেয়ের জন্য সবকিছু করতে পারে। গোন্ড উপজাতির লোকেদের জীবিকা মূলত পশুশিকার। মাংস এবং মাছ তাদের খাদ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে। মহিলারা শাড়ি পরেন এবং পুরুষরা ধুতি ও গেঞ্জি পরেন।