একাই ৩০০ মানুষ খেয়েছে, ভয়ানক কুমির গুস্তাফ

পৃথিবীতে বিদ্যমান হিংস্র প্রাণীদের তালিকা করলে, সেখানে কুমিরের নাম ওপর দিকেই থাকবে। একজন কুমির ৩০০ জন মানুষকে আস্ত গিলে খেল! এমনটা হয়তো কেউ কল্পনাতে আনতে…

পৃথিবীতে বিদ্যমান হিংস্র প্রাণীদের তালিকা করলে, সেখানে কুমিরের নাম ওপর দিকেই থাকবে। একজন কুমির ৩০০ জন মানুষকে আস্ত গিলে খেল! এমনটা হয়তো কেউ কল্পনাতে আনতে পারেনি। গুস্তাভ নামক এক হিংস্র কুমির এই লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। বারংবার চেষ্টা করেও কব্জায় আনা যায়নি এই কুমিরকে। একে ৪৭-এর গুলিও নাকি কিছু করতে পারবে না শক্তিধর এই প্রাণীটির। সরীসৃপ প্রজাতির হলেও কুমিররা সাধারণত মাংশাসী হয়ে থাকে। তাজা প্রাণের গন্ধ পেয়ে গেলে তাদের মাথা চারা দিয়ে ওঠে। হাতের নাগালে মানুষের গতিবিধি লক্ষ্য করলে তাদের আত্মসাৎ করতেও কুন্ঠা বোধ করেনা।‌ তবে কুমিরের হিংস্রতার ধারণা বদলে দিয়েছে গুস্তাভ। তার বসবাস আফ্রিকান দেশ বুরুন্ডীর রুসিজি নদীতে। এর স্বভাব যেমন হিংস্র, আকারও তেমন দৈত্যেরও মতো। কেউ কেউ ধারণা করেন ৩০০ জন মানুষকে আস্ত গিলে খেয়েছে আস্ত কুমিরটি। এত চেষ্টার পরও বাগে আনতে পারেনি। একে ৪৭, রকেট লঞ্চার কিছুই করতে পারবে না গুস্তাফের। গুস্তাফ আফ্রিকার সবচেয়ে বড়ো সরীসৃপ প্রাণী। গুস্তাফ প্রায় ১০ ফুট ও ওজন ২০০০ পাউন্ড।

কুমির বিশেষজ্ঞ মার্ক গানসুয়ানার মতে, ১৯৮৭ নাগাদ প্রথম গুস্তাফের উৎপাত ধরা পড়ে। বেশ কিছু মানুষকে খেয়ে ফেলে এটি। ক্রমেই বাড়তে পারে এর উৎপাত। কুমির বিশেষজ্ঞ প্যাট্রিসফায় ২০০১ সালে তার নাম রাখেন গুস্তাফ। এক সৈন্য রুসিজি নদীতে স্নানের সময় আবিষ্কার করেন গুস্তাফকে। অনেক বছর ধরে প্যাট্রিস পর্যালোচনা করেন গুস্তাফের। অন্যান্যরা মাছ, ছাগল খেয়ে ক্ষুদা নিবারণ করে। গুস্তাফ আরও এক ধাপ ওপরে, তার লক্ষ্যবস্তু মানুষ। বেশ কিছু কুমির বিশেষজ্ঞের মতে, শুধু মানুষ খায় বলে গুস্তাফের ওজন অনেক বেশি। রুমোঙ্গো ও মিনোগো এলাকায় দেখা যায় গুস্তাফকে। নদীর তীর ধরে সাঁতারের সময় গিলে নদীতে মাছ ধরতে আসা মানুষদের।

   

কুমির বিশেষজ্ঞ প্যাট্রিসফায় জানান , সবসময় গোটা শিকার খেয়ে ফেলে না গুস্তাফ, রেখে যায় নদীর জলে। গ্রামবাসীদের দাবি, খিদের জন্য নয় শখের বশে মানুষ ধরে গুস্তাফ। তবে এ ব্যাপারে দ্বিমত প্রশন করেন কুমির বিশেষজ্ঞ গানসুয়ানার। তার মতে, কখনও মজার জন্য মানুষ গিলে খায়না, আসলে কুমির বেশি খেতে পারেনা। প্রয়োজনের বেশি পরিমাণ সে উগরে দেয়। প্যাট্রিসফায় জানান, গুস্তাফ এত মোটা বন্দুকের গুলিও তা ভেদ করতে পারবেন না। গুস্তাফকে ধরার জন্য সবাই পরাজয় বরণ করেছেন।প্যাট্রিসফায় আঁটসাঁট বেঁধে নেমেছিলেন গুস্তাফকে ধরতে। গুস্তাফের এলাকায় ৩০ ফুট খাঁচা বানিয়ে তাতে ক্যামেরা বসিয়ে টানা দুইমাস চেষ্টা করে প্যাট্রিস ও তার দল। এমনকি শোনা যায় টোপ হিসেবে গুস্তাফের প্রিয় খাদ্য জীবন্ত মানুষও পর্যন্ত ব্যবহার করেছিলেন তারা। লোভের বশবর্তী হয়ে তাও ধরা দেয়নি গুস্তাফ। ‌