বড়দিনে গড় গড় করে চলে যান গড় পঞ্চকোট

নিউজ ডেস্ক: কলকাতা : কর্মব্যস্ত জীবনে কখনও কখনও মন চায় একটু ছুটি। মন চায় শান্তস্নিগ্ধ খোলামেলা প্রাকৃতিক পরিবেশে নিঃশ্বাস নিতে । সপ্তাহান্তে একটু মানসিক শান্তি…

নিউজ ডেস্ক: কলকাতা : কর্মব্যস্ত জীবনে কখনও কখনও মন চায় একটু ছুটি। মন চায় শান্তস্নিগ্ধ খোলামেলা প্রাকৃতিক পরিবেশে নিঃশ্বাস নিতে । সপ্তাহান্তে একটু মানসিক শান্তি উপলব্ধির জন্য বন্ধুবান্ধব বা স্বপরিবারে ঘুরে আসুন গড়পঞ্চকোট।

কীভাবে যাবেন :

কলকাতা থেকে ভলভো বাসে করে আসানসোল পৌঁছে যান ঘন্টা তিনেকের মধ্যে । সেখান থেকে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে বরাকর হয়ে গড়পঞ্চকোট আরও ৪৫ মিনিট । এছাড়াও হাওড়া থেকে ট্রেনে গিয়ে নামতে পারেন বরাকর, অথবা কুমারডুবি অথবা আদ্রা স্টেশনে। বরাকর থেকে গড় পঞ্চকোটের দূরত্ব ২২ কিমি। কুমারডুবি থেকে দূরত্ব ২৬ কিমি। আদ্রা থেকে দূরত্ব ২৩ কিমি। এই তিন স্টেশন থেকেই অটো বা গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যান গড়পঞ্চকোটে। কুমারডুবি সব চাইতে কাছে কিন্তু যোগাযোগ ভাল বরাকর বা আদ্রা কিংবা আসানসোল (৩৪ কিমি) থেকে। গড়পঞ্চকোট বেড়ানোর সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হল বর্ষা বা শীতকাল।

কোথায় থাকবেন :

সরকারি ও বেসরকারি লজ দুইই পাবেন গড়পঞ্চকোটে । উল্লেখযোগ্য সরকারি লজগুলি হল WBFDC গড়পঞ্চকোট নেচার রিসোর্ট – PHE গেস্ট হাউস – পাঞ্চেত রেসিডেন্সি – গড়পঞ্চকোট ইকো টুরিজম ।

নিসর্গ আর ইতিহাস একসঙ্গে বসত করে এখানে।  গড়পঞ্চকোটের গড় ছাড়াও এখানে রয়েছে বিরিঞ্চিনাথের মন্দির, জয়চণ্ডী পাহাড়, বড়ন্তিতে মুরারডি লেক, কল্যাণেশ্বরী মন্দির। রয়েছে গড়পঞ্চকোট পাহাড়। পাহাড়ের দক্ষিণ ঢালে রয়েছে টেরাকোটা, জোড়বাংলো, পাঁচচুড়োর ৯টি মন্দির, গোপন কুটুরি, সুড়ঙ্গ। আর লাল মাটির পথ ধরে গেলে পাবেন আদিবাসীদের গ্রাম।  তাঁদের ঘরসংসার। এক সময় মাইকেল মধুসূদন এখানে চাকরি করতেন পঞ্চকোট রাজার এস্টেট ম্যানেজার হিসাবে। ইতিহাসবিদদের অনুমান রাজা দামোদর শেখর তার রাজ্যের পাঁচ প্রধান জাতিকে চিহ্নিত করতে রাজ্যের নাম রাখেন পঞ্চকোট । আর রয়েছে কাশীপুর রাজবাড়ি। মুঘল আক্রমণের সময় পঞ্চকোট রাজারা তাঁদের গড় কাশীপুরে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য হয়েছিলেন। লাল ইঁট, পাথর ও কাঠের তৈরি এই রাজবাড়ির স্থাপত্য ও শিল্পকলা অসাধারণ। আর রয়েছে প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর রূপ। আর সেই রূপ চাক্ষুষ করতে দিন দুই ছুটি নিয়ে একবার ঘুরেই আসুন গড়পঞ্চকোট।