Eid Mubarak: লাটসাহেব হেস্টিংসের কাবাব, তাঁর ডায়েরির দুর্দান্ত রেসিপি

সৌমিতা পাল: কোনো বাদশাহ, নবাব নন যে সবসময় রকমারি কাবাব (kebab) খোশবাইয়ের কথা ভুরভুর করবে। ঝাল মশলা খেলে চোখ দিয়ে জল পড়া বিলেতির ডাইরিতেই আছে…

সৌমিতা পাল: কোনো বাদশাহ, নবাব নন যে সবসময় রকমারি কাবাব (kebab) খোশবাইয়ের কথা ভুরভুর করবে। ঝাল মশলা খেলে চোখ দিয়ে জল পড়া বিলেতির ডাইরিতেই আছে দুর্দান্ত কাবাব রেসিপি। দুশো বছর নীরবে পার হয়ে গেছে এই কাবাবের বয়স। গুটিকয় যারা জানেন তারা বলেন ‘লাটসাহেবের কাবাব’।

বিলেত থেকে ভারতে এসে কাবাব নেশায় বুঁদ হয়ে গেছিলেন বড়লাট ওয়ারেন হেস্টিংস। ক্রূর কূটিল তাঁর কাজকর্ম যেমন, তেমনই ছিল ভারতীয় রসনা ও রকমারি বিষয়ে মনোযোগ। তিনি কাবাবের বিষয়ে বিশেষ নজর দেন।

সেই শুরু লাটসাহেব কাবাব প্রীতি। তার ডাইরিতে আছে কাবাব রেসিপি।  সম্প্রতি একজন টুইটার ব্যবহারকারী ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের ব্যক্তিগত ডায়েরি থেকে একটি পুরনো কাবাবের রেসিপি পোস্ট করেন। এই টুইট সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন তুলেছে।কাবাবের প্রতি হেস্টিংসের ভালোবাসা প্রকাশ পাচ্ছে এই ডায়েরির নোট দেখে।

টুইটটি ভাইরাল হওয়া মাত্রই সবাই মন্তব্য করতে শুরু করে। একজন লিখেছেন “বিশ্বের কিছু সুস্বাদু কাবাব এখনও লখনউতে পাওয়া যায়।” অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন “অসাধারণ নথি। এটি কি “কেবাউব খেতাই” বলে?

রেসিপিটি ১৭৮৪ সালের জুলাই মাসে লখনউতে নবাব আসাফের কোম্পানির রাজকীয় রান্নাঘর থেকে নেওয়া হয়েছিল।  কীভাবে কাবাব তৈরি করতে হয় তা হেস্টিংসের ব্যক্তিগত ডায়েরি থেকে সরাসরি আপনাদের জন্য-

লাটসাহেবের কাবাব
মাংসের কিমা , রসুন, লংকা, ডিমের কুসুম, ক্রিম, তাজা পেঁয়াজ, এলাচ, লবঙ্গ কয়েকটা।

ওয়ারেন হেস্টিংস লিখেছেন এই কাবাব তৈরির পদ্ধতি:  মাংস একটি পাথরে ভাল করে পিষে গোলাকার রুপ তৈরি করুন এবং মাখনে ভাজুন, সাবধানে, যেন সেগুলি কড়ায় লেগে না যায়।

কী ভাবছেন? করা সম্ভব? দেখুন চেষ্টা করে। যদি পারেন।