হাসিলে হাজার মানিক…দুবাইয়ের নেপথ্য শাসক শেখ মাহরা

রিল লাইফে নয়, রিয়েল লাইফে রানী তিনি। থাকেন সবসময় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তুড়িতে হার মানান রুপোলি পর্দার নায়িকাদের।তিনি সুন্দরী তো বটেই চেহারাতেও রয়েছে আভিজাত্য। তাঁর রূপের…

রিল লাইফে নয়, রিয়েল লাইফে রানী তিনি। থাকেন সবসময় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তুড়িতে হার মানান রুপোলি পর্দার নায়িকাদের।তিনি সুন্দরী তো বটেই চেহারাতেও রয়েছে আভিজাত্য। তাঁর রূপের ছটায় মোহিত সকলে।সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। তিনি কিন্তু যে সে কন্যা নন, তিনি দুবাইয়ের রাজকন্যা শেখ মাহরা বিন্ত মহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। অনেকেই তাঁকে শেখ মাহরা নামেই চেনেন।সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা তিনি।

একজন সত্যিকারের রাজকুমারী কেমন দেখতে হয় তা বোঝা যায় প্রিন্সেস মাহরাকে দেখে। তিনি হার মানান বলিউডের নায়িকাদেরও। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তার অসাধারণ ফ্যাশন সেন্স আর রাজকীয় আভিজাত্য।

দুবাই শাসকের অনেক সন্তান-সন্ততি আছেন তবে বেশ জনপ্রিয় শেখ মাহরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে অনুসরণ করেন কয়েক লক্ষ ফলোয়ার্স। যার অন্যতম কারণ রাজকুমারীর লাইফস্টাইল। দুবাইয়ের সবচেয়ে সুন্দরী এই রাজকন্যাকে বলা যায় মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ফ্যাশন আইকন।

বছরের বিভিন্ন সময় নানা অনুষ্ঠানে যান তিনি। সেসময় তার পরনে থাকে অসাধারণ সব ডিজাইনের ভিন্নধর্মী পোশাক। মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীলতা মেনে শালীন পোশাক পড়েই মুগ্ধতা ছড়ান তিনি। মধ্যপ্রাচ্যের এই রাজকন্যার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তার অসম্ভব দেশপ্রেম। পশ্চিমী কালচারে বড় হলেও তিনি কোনোভাবেই দেশের সংস্কৃতি ভুলে যাননি।

তার ব্যক্তিগত মালিকানায় কয়েকশো মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি রয়েছে। তিনি চাইলেই বিশ্বের সবচেয়ে দামি ডিজাইনারকে দিয়ে নিজের পোশাক বানাতে পারেন। কিন্তু তিনি বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করেন স্বদেশী পোশাক। এর মাধ্যমে তিনি মূলত স্থানীয় ডিজাইনেরদের উৎসাহিত করেন। তাঁর আর একটা বৈশিষ্ট্য হল উদারতা। আভিজাত্য এবং বিলাসিতার মধ্যে থেকেও তিনি সমাজের কথা ভুলে যাননি। বিভিন্ন সময় সমাজ সেবা করতে দেখা যায় তাকে।ব্যক্তিত্বের দিক থেকে দুবাইয়ের এই রাজকন্যা শিক্ষিত সুন্দরী এক নারী।

নারীদের ক্ষমতায়ন, পরিবেশরক্ষার মতো বিষয় নিয়ে বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছে মাহরাকে।ঘোড়ার প্রতি মাহরার প্রেমও নজর কেড়েছে সমাজমাধ্যমে। তাঁর ব্যক্তিগত কালেকশনে রয়েছে ১১টি রাজকীয় ঘোড়া। যার মূল্য কয়েক মিলিয়ন ডলার।সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে এই রাজকন্যার। যা এই মুহূর্তে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।