নাম না-জানা জারারাকুস্সু পিট ভাইপারের বিষেই মরছে করোনা ভাইরাস

#coronavirus নিউজ ডেস্ক: কালান্তক কেউটে বা শঙ্খচূূড় অথবা গোখরো কিংবা ধরুন মারাত্মক ব্ল্যাক মাম্বা এই সব ভয়াল সাপের একটু স্পর্শে এলেই মৃত্যু নিশ্চিত। উগরে দেয়…

Brazilian viper venom may become tool in fight against COVID

#coronavirus
নিউজ ডেস্ক: কালান্তক কেউটে বা শঙ্খচূূড় অথবা গোখরো কিংবা ধরুন মারাত্মক ব্ল্যাক মাম্বা এই সব ভয়াল সাপের একটু স্পর্শে এলেই মৃত্যু নিশ্চিত। উগরে দেয় বিষ। এমনই সব মারাত্মক বিষধর সাপ নিয়ে চাঞ্চল্যকর গবেষণা রিপোর্ট এসেছে।

Advertisements

পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সাপের বিষ প্রয়োগে প্রাণীকোষে করোনাভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গবেষক সম্প্রতি করোনাভাইরাস চিকিৎসায় সাপের বিষ নিয়ে গবেষণা করছেন।

Advertisements

রয়টার্স জানাচ্ছে, সাপের বিষে যে জটিল রোগের চিকিৎসা সম্ভব, তা ইতিমধ্যে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত বলে দাবি করেছেন ব্রাজিলের গবেষকরা। গবেষকরা এই পরীক্ষা করেছিলেন ব্রাজিলের এক বিশেষ প্রজাতির সাপ জারারাকুস্সু পিট ভাইপারের বিষ নিয়ে। সেই বিষ বাঁদরের কোষে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল। এসেছে অভূতপূর্ব সাফল্য ।

করোনাভাইরাস সংক্রমণে ব্রাজিলের পরিস্থিতি ভয়াবহ। গত দু বছরে ব্রাজিল অর্থনীতি তথৈবচ। মৃত্যু ও সংক্রমণ প্রবল হয়েছিল। এই অবস্থায় ব্রাজিলের গবেষকরা সাপের বিষ নিয়ে করোনা প্রতিরোধের গবেষনা শুরু করেন।

রয়টার্স জানাচ্ছে, গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন,ওই সাপের বিষে থাকা বিশেষ একটি উপাদান প্রাণীকোষে করোনার সংক্রমণ থামাতে পেরেছে। গবেষকরা বলছেন, সাধারণত প্রাণীকোষে প্রবেশের পর নিজের সংখ্যাবৃদ্ধি করেই সংক্রমণ ছড়ায় করোনাভাইরাস। সংখ্যাবৃদ্ধির সেই হার ৭৫ শতাংশ কমিয়ে এনেছে জারারাকুস্সু পিট ভাইপারের বিষ।

মারাত্মক বিষধর এই সাপ। তারই বিষের একটি অণু উপাদান করোনাভাইরাসের গুরুত্বপূর্ণ এক স্পাইক প্রোটিনকে অকেজো করতে পারছে বলে দাবি সাও পাওলোর গবেষকদের