Bangladesh: ‘মাখন কাকার ছেলে’ মানিক ফের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, আবেগতাড়িত বাংলাদেশি শরিফুল

খবরটা বাংলাদেশের (Bangladesh) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম (Bangladeshi Shariful Islam) পেয়েছিলেন ফেসবুকে-মাখন কাকার ছেলে মানিক (Manik Saha) জিতেছেন। ‘

Manik Saha

খবরটা বাংলাদেশের (Bangladesh) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম (Bangladeshi Shariful Islam) পেয়েছিলেন ফেসবুকে-মাখন কাকার ছেলে মানিক (Manik Saha) জিতেছেন। ‘জিত্যা গ্যাছে জিত্যা গ্যাছে’ বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাজী পাড়ার অনেকেই তখন বলতে শুরু করেছেন। দিনভর প্রতিবেশি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ভোটে চোখ ছিল বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর। ঘরের ছেলে ভোট পরীক্ষা দিতে নেমেছে।

বেলা গড়াতেই খবর আসতে থাকে কখনও পিছিয়ে তো কখনও এগিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা। আগরতলার টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে বিজেপি ও কংগ্রেসের তীব্র লড়াই চলছিল। অল্প ব্যবধানে কংগ্রেসকে হারিয়ে জয়ী হন মানিক সাহা। সেই খবরটা কয়েক সেকেন্ডে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌঁছে যায় সোশ্যাল মিডিয়া মারফত। সেখানে শুরু হই হই।

   
BJP Chief Minister Manik Saha visits Kalighat temple
ভোটের ফলাফল ঘোষণার কদিন আগে কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে এসে পুজো দেন ত্রিপুরার ভাবী মুখ্যমন্ত্রী

তিনদিকে বাংলাদেশ দিয়ে ঘেরা ত্রিপুরা। আর ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের অতি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। ভারতের এই অঙ্গরাজ্যটির ভোট নিয়ে সীমান্তের ঠিক ওপারে থাকা বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিল বিশেষ নজর। কারণ এখানকার কাজী পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার পিতা মাখন সাহা। তিনি যে বাড়িতে থাকতেন সেই বাড়িতে এখন থাকেন শরিফুল ইসলাম মালদার। তাঁর পিতা নূর মিঞার সাথে মাখন সাহার গভীর বন্ধুত্ব ছিল। দেশ ভাগের আগে নূর মিঞা থাকতেন আগরতলায়। পরে দুই পরিবার নাগরিকত্ব পরিবর্তন করে। নূর মিঞা পাকাপাকিভাবে মাখন সাহার বাড়িতে থিতু হন। শরিফুল জানান, মাখন কাকার ছেলের সাথে যোগাযোগ থেকে গেছে।

ত্রিপুরায় ২০১৮ সালে টানা পঁচিশ বছরের বাম জমানার পরিবর্তন হয়েছিল। বিজেপি সরকার গড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেল বিপ্লব দেব। একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে বিপ্লবকে সরিয়ে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল বিজেপি। উপনির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। এবারও জিতেছেন। প্রথমবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাজী পাড়ার শরিফুল ইসলাম চর্চিত হন। তিনি জানিয়েছিলেন, মানিক সাহার পিতার নামে ইলেকট্রিক বিল এখনও আমরা দিই। বাবা সেরকমই বলে গিয়েছেন।

বাংলাদেশে বিদ্যুত বিল আসে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বাবার নামে এই সংবাদটি দুই দেশেই চমক তৈরি করেছিল। শরিফুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, মাখন কাকার নামেই বিদ্যুতের বিল আমরা দেব। কারন বাবা ও মাখন কাকার বন্ধুত্বের এটাই একটা যোগসূত্র। সেটি পরে জানতে পারেন মানিক সাহা। তিনিও আবেগতাড়িত হন।