মাঙ্কিপক্স রোগীদের কীভাবে পরিষেবা দেবেন? নির্দেশিকা জারি এইমসের

অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট ফর মেডিকেল সায়েন্সেস ভারতে সন্দেহভাজন মঙ্কেপক্স (MonkeyPox) কেস পরিচালনার জন্য একটি প্রোটোকল জারি করেছে কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগটিকে আন্তর্জাতিক স্তরে উদ্বেগের কারণ হিসেবে হিসেবে ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে সারা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের ফলে আইসোলেশন রুম তৈরির নির্দেশ দিয়েছে এইমস।

Advertisements

একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে বিমানবন্দর, বন্দর এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সীমান্তে আগত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। সরকার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে যে আগত লোকজনের মধ্যে মানকিপক্সের সংক্রমণের কোনও লক্ষণ দেখতে পেলে যেন সরকারকে জানান তাঁরা ।

   

জরুরী বিভাগে সন্দেহভাজন মাঙ্কিপক্স কেসগুলি পরিচালনা করার জন্য, প্রতিষ্ঠানগুলির ট্রাইএজ এলাকায় একটি স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া স্থাপন করার সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এই এলাকায় ঢোকার পরে, জ্বর, ফুসকুড়ি, বা নিশ্চিত এমপক্স কেসের সঙ্গে জড়িত যে কোনও লক্ষণের পরীক্ষা এবং চিহ্নিতকরণ করা হবে। জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ফোলা লিম্ফ নোড, ঠাণ্ডা লাগা, ক্লান্তি এবং ত্বকের বৈশিষ্ট্যযুক্ত ক্ষত মানকিপক্সের মুখ লক্ষণ হিসেবে পরিচিত। এরপর নির্দেশিকায় লেখা হয়েছে যে সন্দেহভাজন রোগীদের অবিলম্বে একটি মনোনীত বিচ্ছিন্ন এলাকায় স্থানান্তকরণ করতে হবে যাতে অন্যান্য রোগী এবং কর্মীদের সং তাঁদের যোগাযোগ কম হয়।

Advertisements

এইমস জানিয়েছে যে দিল্লির সাফদারজং হাসপাতালকে মাঙ্কিপক্স রোগীদের পরিচালনা ও চিকিৎসার জন্য মনোনীত করেছেন তাঁরা। তাই মাঙ্কিপক্স থাকার সন্দেহে হলে যে কোনও রোগী মূল্যায়ন এবং চিকিৎসার জন্য সাফদারজং হাসপাতালে রেফার করার কথা নির্দেশিকাতে বলে হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ভারতে বর্তমানে কোনও মাঙ্কিপক্সের ঘটনা ঘটেনি। একটি মূল্যায়ন অনুসারে, দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের সঙ্গে একটি বড় প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি কম।

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে মাঙ্কিপক্সের কেস ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর, বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বছর, এখনও পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সংক্রমণের সংখ্যা গত বছরের মোট সংক্রমণের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। ইতিমধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫,৬০০। এই রোগে এখনও অব্দি প্রাণ হারিয়েছেন ৫৩৭ জন।