Paush kali: মাংস রক্ত নয়, পৌষ পড়লেই মূলোতেই খুশি হন কালী

পৌষ মাসে বঙ্গে ধূমধাম করে পূজিতা হন দেবী পৌষকালী (Paush kali) ,এই পূজা বারো মাসে বারো দুর্গার আরাধনার এক অংশ কিন্তু পৌষকালীর পূজার কোন নির্দিষ্ট…

Paush kali is takes special vegetable

পৌষ মাসে বঙ্গে ধূমধাম করে পূজিতা হন দেবী পৌষকালী (Paush kali) ,এই পূজা বারো মাসে বারো দুর্গার আরাধনার এক অংশ কিন্তু পৌষকালীর পূজার কোন নির্দিষ্ট দিন নেই পৌষ মাসের শনি ও মঙ্গলবার বাংলার জনপ্রিয় কিছু ও প্রায় সব মন্দিরেই স্বগরিমায় পূজিতা হন দেবী পৌষকালী। আরেক নামে ইনি মূলোকালী রূপেও খ্যাতা।

পৌষ মাসের শনি ও মঙ্গলবারে ভক্তকূল মূলো দিয়ে দেবীর পূজো দিয়ে থাকেন। এই মূলোর মাধ্যমে ভক্তরা নিজেদের পাপকর্ম দেবীকে সমর্পণ করে আর দেবী তা নিজ মধ্যে ধারন করে ভক্তকূলকে পূন্য,শান্তি ও সুখ, সমৃদ্ধি দান করে।

এই মূলো দেবীকে দান করার পর ভক্তকূল আর মূলো ভক্ষণ/খেতে পারে না চৈত্র মাস পর্যন্ত আবার নতুন বছর অর্থাৎ বৈশাখ মাস থেকে খাওয়া যায়। ভয়ংকরী কালী এই পৌষে সোনার পৌষালী মমতাময়ী ক্ষমাময়ী হয়ে ধরা দেন সন্তানের কাছে।

কালী বা কালিকা হলেন একজন দেবী। তিনি দেবী দূর্গার একটি রূপ । তার অন্য নাম শ্যামা বা আদ্যাশক্তি। প্রধানত শাক্ত সম্প্রদায় আবশ্যিক কালীপূজা করে থাকে। তন্ত্র অনুসারে কালী দশমহাবিদ্যা-র প্রথম দেবী। শাক্তমতে কালী বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ। বাঙালি হিন্দু সমাজে কালীর মাতৃরূপের পূজা বিশেষ জনপ্রিয়।

দেবীর আর্বিভাব সম্পর্কে পৌরাণিক ব্যাখ্যা ও সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী পুরাকালে শুম্ভ এবং নিশুম্ভ নামক দুই দৈত্য সারা পৃথিবী জুড়ে তাদের ভয়ঙ্কর ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। দেবতারাও এই দুই দৈত্যের কাছে যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করে। ফলে দেব লোক তাদের হাতছাড়া হয়ে যায় তখন দেবরাজ ইন্দ্র দেবলোক ফিরে পাওয়ার জন্য আদ্যশক্তি মা পার্বতীর তপস্যা করতে থাকেন, তখন দেবী সন্তুষ্ট হয়ে তাদের কাছে আবির্ভূত হন এবং দেবীর শরীর কোষ থেকে অন্য এক দেবী সৃষ্টি হয় যা কৌশিকী নামে ভক্তদের কাছে পরিচিত। দেবী কৌশিকী মা মহামায়ার দেহ থেকে নিঃসৃত হয়ে মহাকাল বর্ণ ধারণ করে, যা দেবী কালীর আদিরূপ বলে ধরা হয়।

পুরাণ ও তন্ত্র সাহিত্যে কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। এগুলি হল-দক্ষিণাকালী(শ্যামা),মহাকালী,শ্মশানকালী গুহ্যকালী, ভদ্রকালী, সিদ্ধকালী, আদ্যাকালী, চামুন্ডাকালী। আবার বিভিন্ন মন্দিরে “ব্রহ্মময়ী”, “ভবতারিণী”, “আনন্দময়ী”, “করুণাময়ী” ইত্যাদি নামে কালীপ্রতিমা পূজা করা হয়। এই সব রূপের মধ্যে দক্ষিণাকালীর বিগ্রহই সর্বাধিক পরিচিত ও পূজিত। দক্ষিণাকালী চতুর্ভূজা। তার চার হাতে খড়্গ, অসুরের ছিন্ন মুণ্ড, বর ও অভয়মুদ্রা রয়েছে। তার গলায় রয়েছে নরমুণ্ডের মালা। দেবীর গায়ের রং কালো। মাথায় আলুলায়িত চুল এবং তিনি শিবের বুকে ডান পা আগে রেখে দণ্ডায়মান।