একুশের গান লিখে আগেই অমরত্ব লাভ করেছেন আবদুল গাফফার চৌধুরী ( Abdul Gaffar Chowdhury)। আর প্রাণহীন দেহ শেষ ইচ্ছে অনুসারে পেল বাংলাদেশের মাটি। প্রয়াত আবদুল গাফফার চৌধুরীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাধিস্থ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানাচ্ছে, ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রী সেলিমা আফরোজ চৌধুরীর কবরের পাশে তাঁকে দাফন (কবর) করা হয়।
শনিবার লন্ডন থেকে প্রয়াত গাফফার চৌধুরীর দেহ আনা হয় বাংলাদেশে। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তাঁর কফিন গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার। জাতীয় পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয় সেই কফিন। আবদুল গাফফার চৌধুরী গত ১৯ মে লন্ডনের একটি হাসপাতালে প্রয়াত হন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
কবি, সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর কালজয়ী সৃষ্টি “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফ্রেব্রুয়ারি…” এই কবিতা পরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অর্থাত একুশে ফেব্রুয়ারির দিন বিশ্বজুড়ে গাওয়া হয়।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় মাতৃভাষা বাংলার অধিকার চেয়ে গণ আন্দোলন সংঘঠিত হয়েছিল। সেই আন্দোলনে গুলি চালায় পাক পুলিশ। ঘটনার দিন ভাষা শহিদ রফিকের গুলিবিদ্ধ ছিন্নভিন্ন মাথা দেখে কবি আবদুল গাফফার চৌধুরী লিখেছিলেন আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো …এই কবিতায় পরে সুর দেন আলতাফ মাহমুদ। এটি বিখ্যাত একুশের গান।
এই কবিতা রচনার জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন গাফফার চৌধুরী। দীর্ঘ সময় ইংল্যান্ডে ছিলেন তিনি।