দুদিন ছুটিতে কোথাও যেতে চান? অথচ ট্রেনের টিকিট, হোটেল বুকিং নেই? অসুবিধা কি? কোনরকম প্রি বুকিং ছাড়াই চলুন ঘরের পাশে ঝারখান্ড ট্যুরে! তবে রাঁচি পর্যন্ত অত দূরও নয়! ধর্মতলা থেকে বাসে অথবা হাওড়া থেকে ট্রেনে মাত্র কয়েক ঘন্টা জার্নিতে পৌঁছে যান পাহাড়ে ঘেরা সুন্দর শহর জামশেদপুরে (Jamshedpur)।
সেখান থেকে আপনারা চাইলে ঘাটশিলার দিকটাও যেতে পারেন আবার ঝড়খণ্ডের রাঁচির দিকটাও কিছু দূর যেতে পারেন। জামশেদপুরের লোকাল ট্যুর টাও কম রোমাঞ্চকর নয়।
প্রথম দিন কলকাতা থেকে রওনা হয়ে রাত্রিবেলা পৌঁছে জামশেদপুরের হোটেলে থাকা, দিন ভোরবেলা জামশেদপুর থেকে একটি গাড়ি নিয়ে গভীর জঙ্গলে ঘেরা দলমা পাহাড়ে ওঠা হাতিদের দর্শন, দলমা রেঞ্জের মাথা থেকে দারুন ভিউ দেখতে পাওয়া, তারপর নেমে এসে লাঞ্চ সেরেই চলে যাওয়া ডিমনা লেক দেখতে। চারিদিকে পাহাড়ে ঘেরা মাঝখানের সুন্দর বিশাল লেক সে এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা।
সেদিনকার মত হোটেলে ফিরে আবার পরদিন ভোর ভোর বেরিয়ে পড়ুন হয় ঘাটশিলার ট্যুর করতে অথবা রাঁচির দিকে। ভয়ংকর সুন্দর দশম ফলস, দেউরি মন্দির ও রোমান্টিকতায় ভরপুর চান্ডিল লেক দেখা। দশম ফলসে বাক্য হারা হবেন। দু’ঘণ্টা অসম্ভব ভালোভাবে এনজয় করে, এখান থেকে বেরিয়ে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক এম এস ধোনির অতি প্রিয় জায়গা বহু প্রাচীন অতীব সুন্দর দেউড়ি মন্দির দেখে চলে যান চান্ডিল লেকে। এই দুদিনের যাতায়াতের রাস্তার দৃশ্যও অভূতপূর্ব।
লেকটার উপর দিয়ে যে রাস্তা চলে গেছে ঠিক তার পেছনেই বিশাল এক পাহাড়। এই লেকটাও চারিদিকে পাহাড় দিয়ে ঘেরা। সূর্যাস্তের সময়ের দৃশ্য সম্মোহিত করবে আপনাকে।
বোটিংও হয় সারা বছর। সেও এক দারুন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। সময় পেলে অবশ্যই করবেন। সেদিনকার মত হোটেলে ফিরে গোছগাছ সেড়ে পরদিন ভোর ভোর আমরা বেরিয়ে পড়ুন বাড়ির উদ্দেশ্যে।