Lamahatta: গরমের ডেস্টিনেশন ঘুরে আসুন হিল স্টেশন লামাহাটা থেকে

বাঙালির ভ্রমণ মানেই তো দিপুদা অর্থাৎ দীঘা পুরি দার্জিলিং। সুন্দরের মনোরম ঠিকানা দার্জিলিঙে তো সবাই গিয়েছেন কিন্তু জানেন কি দার্জিলিঙের কাছেই করেছে সুন্দরের আরের স্বর্ণখনি…

Lamahatta

বাঙালির ভ্রমণ মানেই তো দিপুদা অর্থাৎ দীঘা পুরি দার্জিলিং। সুন্দরের মনোরম ঠিকানা দার্জিলিঙে তো সবাই গিয়েছেন কিন্তু জানেন কি দার্জিলিঙের কাছেই করেছে সুন্দরের আরের স্বর্ণখনি লামাহাটা (Lamahatta)। পর্যটন মানচিত্রে এক দশকরেও বেশি সময় ধরে লামাহাটার পরিচিতি। ২০১৩ সালে এই জায়গাটির আবিষ্কার করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানার প্রধান আকর্ষণ লামাহাটা পার্ক।

পার্কের গেটের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বোধনী ফলক শোভা পাচ্ছে। ভেতরে ঢোকার জন্য পর্যটকদের ২০ টাকার টিকিট কাটতে হয়। শিলিগুড়ি থেকে ভাড়ার গাড়িতে পাঙ্খাবাড়ি অথবা রোহিণী হয়ে লামাহাটায় যাওয়া যায়। যারা কোলাহলমুক্ত পরিবেশ পছন্দ করেন তাঁদের জন্য সেরা ঠিকানা লামাহাটা।

পার্কের পাহাড়ি পরিবেশে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে পাইন গাছ, ধূপী গাছ। যা দেখলেই ভাল হয়ে যাবে আপনার মন। এখানে দুদিনের জন্য হাওয়া বদল করতে গেলে রিফ্রেশ হয়ে যাবে মাইন্ড। পার্কে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। তবে একসঙ্গে ৭ জনের বেশি সেই ওয়াচ টাওয়ারে ওঠা নিষেধ। মাত্র ১০ মিনিটের জন্য আপনি সেই কাঠের ওয়াচ তাওয়ারে ওঠার সুযোগ পাবেন। সেইটুকু সময়ই মন জুড়িয়ে আনন্দ নিন। ছবি তুলুন ইচ্ছেমতো।

এখন লামাহাটায় বেশকিছু হোম স্টে গড়ে উঠেছে। চাহিদা মতো মিলে যাবে থাকার জায়গা। খাওয়ারের জন্যও রয়েছে নানা হোটেল। তবে আর দেরি কেন, কলকাতার গরম থেকে বাঁচতে আজই কেটে ফেলুন ট্রেনের টিকিট। শিয়ালদা থেকে রাতের পদাতিক এক্সপ্রেসে চেপে পরেরদিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামুন। সেখান থেকেই পেয়ে যাবেন লামাহাটা যাওয়ার গাড়ি।