Diwali Burns: দীপাবলিতে পুড়ে গেলে ভুল করেও টুথপেস্ট লাগাবেন না, হলুদও বিপজ্জনক

Tips To Treat Diwali Burns: দীপাবলির উৎসব দেশ জুড়ে খুব আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালিত হয়। অনেকে কালীপটকা ফাটিয়ে দিওয়ালি উদযাপন করেন। আতশবাজি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ফাটাতে হবে,…

Tips To Treat Diwali Burns: দীপাবলির উৎসব দেশ জুড়ে খুব আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালিত হয়। অনেকে কালীপটকা ফাটিয়ে দিওয়ালি উদযাপন করেন। আতশবাজি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ফাটাতে হবে, অন্যথায় পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দীপাবলিতে পটকা পোড়ানোর সময় অনেকেই তাদের শিকার হন এবং দগ্ধ হন। এছাড়া প্রদীপ ও মোমবাতির কারণে পুড়ে যাওয়ার ঘটনাও দেখা যায়। উৎসবের সময় কেউ দগ্ধ হলে আরও সমস্যা হতে পারে কারণ ওই সময় বেশিরভাগ চিকিৎসকও ছুটিতে থাকেন। এখন প্রশ্ন হল দীপাবলিতে কেউ যদি পটকা বা প্রদীপ জ্বালাতে গিয়ে পোড়া বা ছ্যাঁকা খান, তাহলে প্রাথমিক চিকিৎসা কী হবে? টুথপেস্ট এবং হলুদ প্রয়োগ করে মানুষ কি আরাম পেতে পারে? আসুন জেনে নিই ডাক্তারের কাছ থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর।

দিল্লির এক নামকরা রাম হাসপাতালের প্লাস্টিক অ্যান্ড কসমেটিক সার্জনের মতে, আতশবাজি বা অন্য কোনও জিনিসের কারণে পুড়ে গেলে জায়গাটি ঠান্ডা জল দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এর পরে, পোড়া জায়গায় বার্ন ক্রিম বা যে কোনও অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম লাগাতে হবে। এটি শুধুমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা এবং এটি করার পরে, আপনার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত এবং সঠিক চিকিৎসা করা উচিত। এতে করে আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং আপনার পোড়া দাগ চিরতরে চলে যাবে।

পোড়ার পর চিকিৎসায় অবহেলা বিপজ্জনক হতে পারে। আতশবাজি বা অন্য কোনো জিনিসে কোনো ব্যক্তি পুড়ে গেলে কাঁচি দিয়ে তার কাপড় কেটে ফেলতে হবে এবং পোড়া জায়গাটি জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার চাদরে মুড়িয়ে দিতে হবে। এর পর অবিলম্বে হাসপাতালে যেতে হবে।

বেশিরভাগ মানুষ পোড়া জায়গায় টুথপেস্ট লাগান। তারা মনে করেন, টুথপেস্ট লাগিয়ে পোড়া জায়গা ঠাণ্ডা রাখা যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতামত এর বিপরীত। চিকিৎসকের মতে, আতশবাজি বা বাতি থেকে পোড়ার সময় বেশিরভাগ লোকেরা টুথপেস্ট এবং হলুদ প্রয়োগ করেন, তবে এটি ক্ষতিকারক হতে পারে। এই জিনিসগুলো পোড়া জায়গায় লাগালে সেখানে ময়লা জমে যায়, ফলে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। এমন অবস্থায়, পোড়ার পরে, শুধুমাত্র একটি সাধারণ ক্রিম লাগাতে হবে।

দীপাবলিতে মানুষের বিপজ্জনক আতশবাজি এড়ানো উচিত এবং নিরাপদে দীপাবলি উদযাপন করা উচিত। এগুলি ছাড়াও দীপাবলিতে লোকেদের উপযুক্ত পোশাক পরা উচিত এবং খুব ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত নয়। অনেক সময় মোমবাতির কারণে ঢিলেঢালা কাপড়ে আগুন ধরে যায় এবং মানুষ তা টেরও পায় না। এমতাবস্থায় পোশাকের ব্যাপারে সতর্কতা জরুরি।