Skin Care: প্রাকৃতিক উপাদানে রূপের জেল্লা ফেরান

রূপচর্চা (Skin Care) , যা আমাদের প্রতিটি মানুষেরই করা উচিত। কেউ যদি অল্প করতে চান অল্প আর কেউ বেশি করতে চাইলে বেশি। তার কারণ বর্তমান…

Skin Care

রূপচর্চা (Skin Care) , যা আমাদের প্রতিটি মানুষেরই করা উচিত। কেউ যদি অল্প করতে চান অল্প আর কেউ বেশি করতে চাইলে বেশি। তার কারণ বর্তমান পরিবেশে যা দূষিত পদার্থ মিশে রয়েছে তার ফলে আমাদের ত্বক বা চুলের অনেক বেশি ক্ষতি হয়। আপনি যদি একটু তার পরিচর্যা করেন সেগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

Advertisements

তবে রূপচর্চা করতে এখন মানুষ বেশি বিভিন্ন কোম্পানির ক্রিম বা স্ক্রাবকেই বেছে নেয়। কিন্তু আমাদের প্রকৃতিতেই এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা আমাদের রূপচর্চায় সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে।

   

১. হলুদ: হলুদের অনেক গুণ। এটি সংক্রমণের হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে সাহায্য করে। ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। আপনি যদি ফেসপ্যাকের সঙ্গে হলুদ আর তেল মিশিয়ে মুখে লাগান এতে ত্বকের উন্নতি হবে। হলুদ আর তুলসি পাতা বেটে লাগালেও ভালো ফল পাবেন।

২.জাফরান: জাফরান বা কেশরের ভূমিকা রূপচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ। রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, জাফরানে নানা রকমের ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ইনফেকশনের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

৩. নিম: ত্বক বা চুলের যত্নে নিমপাতা অতুলনীয়। এটি ত্বকের ব্ল্যাকহেডস ও রোদে পোড়া দাগ দূর করে। এ ছাড়া ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর করতে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন নিমপাতার ফেসপ্যাক। নিমপাতা জলে ভালো করে ভিজিয়ে রাখুন। ঘণ্টাখানেক পর বেটে নিন। এর পর নিমের পেস্ট এক ঘণ্টা ত্বকে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৪.তুলসি: তুলসি পাতায় প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। যা ত্বককে রিফ্রেশ করে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তুলসিতে থাকা ভিটামিন, প্রোটিন ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য তুলসী পাতা ভালো করে ধুয়ে বেটে নিন। এর পর ফেস প্যাকের মত মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও দাগহীন।

৫. চন্দন: রূপচর্চায় চন্দন ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। এর ওষধি গুণাগুণ ত্বককে রাখে কোমল ও সুন্দর। পাশাপাশি ব্রণ, রোদে পোড়া দাগ এবং বলিরেখাও দূর করে। চন্দনের কিন্তু বেশ কিছু অ্যান্টিসেপটিক গুণও রয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত চন্দন ব্যবহার করেন, তাহলে ত্বক ভালো থাকবে।