শিলিগুড়ির কাছেই, বেড়াতে গেলে মন জুড়োবে দুধিয়া

কলকাতায় গরম পড়তে শুরু করেছে। রোজকার একঘেয়ে জীবন ও ক্লান্তি দূর করতে হাওয়া বদল জরুরি। মনের পরিবর্তন আনতে বেরিয়ে পড়ুন। বসন্তের প্রকৃতি আপানকে ডাকছে। শিয়ালদহ…

Dudhia, Darjeeling

কলকাতায় গরম পড়তে শুরু করেছে। রোজকার একঘেয়ে জীবন ও ক্লান্তি দূর করতে হাওয়া বদল জরুরি। মনের পরিবর্তন আনতে বেরিয়ে পড়ুন। বসন্তের প্রকৃতি আপানকে ডাকছে। শিয়ালদহ থেকে রাতের কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে উঠে পরদিন এনজেপি নামুন। সেখানেই পাওয়া যায় ভাড়ার গাড়ি। কিছুদূর এগোলেই মনে আসবে শান্তি। পাহাড়ি পরিবেশ মুগ্ধ করে দেবে মন। পর্যটন মানচিত্রে দুধিয়ার সুনাম রয়েছে। আগে ছিল পিকনিক স্পট। এখন বেশ কিছু হোম স্টে গড়ে উঠেছে।

দুপাশে শাল সেগুনের সারি, দূরে দেখা যাচ্ছে পাহাড়। পাহাড়ি নদীতে পা ডোবাতেই ভিজে যাবে মন। নদীর অল্প জলের পাশে পাথরের ওপর একান্তে বসে থাকলেই মনে আসবে প্রশান্তি। ইদানীং দুধিয়ায় পর্যটকদের ভিড় বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রকৃতির টানেই এখানে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। যারা শিলিগুড়িতে থাকেন, ছুটির দিন সকালে বেরিয়ে সন্ধের মধ্যেই ফিরতে পারছেন বাড়িতে।

দুধিয়া থেকে কাছাকাছির মধ্যে দেখে নিতে পারেন রংটং। দার্জিলিং যাওয়ার পথে ছোট্ট একটি স্টেশনকে ঘিরে জমে উঠেছে বসতি। উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট ভ্রামণিক গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য নানা লেখায় এই পর্যটনকেন্দ্রগুলির কথা উল্লেখ করেছেন। প্রকৃতি যেন আপন খেয়ালে সাজিয়েছে দুধিয়ার রূপ বৈচিত্র। এখানে বেড়াতে গেলে ভালো হয়ে উঠবে মন।

তাহলে আর দেরি কেন, আজই ট্রেনের টিকিট কেটে ফেলুন। দোলের ছুটিতেই ঘুরে আসতে পারেন কলকাতা থেকে অল্প দূরের দুধুয়া থেকে। এখনে থাকার জন্য চাহিদা মতো হোম স্টে পেয়ে যাবেন। একবার গেলে ভুলতে পারবেন না কখনও। বারবার যেতে ইচ্ছে করবে।