Holi Precautions: ঢোলের আওয়াজ এবং রঙের মজা ছাড়া হোলি উৎসব অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। এ বছর 25 মার্চ সারাদেশে হোলি উৎসব পালিত হবে। এই দিনটিকে বিশেষ করে তুলতে মানুষ একে অপরের গায়ে রঙিন গুলাল লাগিয়ে থাকেন। যদিও আগেকার সময়ে মানুষ ফুল বা রং দিয়ে হোলি খেলত, কিন্তু আজ হোলি খেলতে রাসায়নিক রঙের ব্যাপক ব্যবহার করা হয়। হোলির এই রঙগুলিতে সীসা অক্সাইড, ক্রোমিয়াম আয়োডাইড, তামা, সালফেট, সীসা এবং অ্যালুমিনিয়াম ব্রোমাইডের মতো রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। যা ব্যক্তির জন্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক রাসায়নিক রং দিয়ে হোলি খেলে স্বাস্থ্যের কী কী ক্ষতি হয় এবং প্রতিরোধের উপায় কী।
চোখের সমস্যা –
রাসায়নিক রং, বিশেষ করে সিলিকা এবং সীসা যোগ করা হয়। এসব রঙের সামান্য পরিমাণও চোখে প্রবেশ করলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এই ধরনের রং চোখ চুলকানির পাশাপাশি জ্বালা সৃষ্টি করে চোখের পুতুলেরও ক্ষতি করতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা-
রাসায়নিক রং দিয়ে হোলি খেলার সময় যদি এগুলো বেশি পরিমাণে মুখে প্রবেশ করে তাহলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। যার কারণে বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা এবং পেটে সংক্রমণের মতো সমস্যা হতে পারে।
বিষাক্ততা-
রাসায়নিক হোলির রং তৈরি করার সময় সীসা, পারদ, ক্রোমিয়াম এবং অ্যামোনিয়ার মতো বিপজ্জনক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে হোলি খেলার সময় যদি ভুলবশত এই রং মুখের মধ্যে ঢুকে যায় বা ত্বকে মিশে যায়, তাহলে শরীরে বিষাক্ততা বাড়তে পারে। যার কারণে শরীরও ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ ছাড়া এই ধরনের রং গর্ভবতী মহিলাদের এবং তাদের বিকাশমান ভ্রূণের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা-
হোলির রঙে পারদ, গ্লাস, সিলিকার মতো বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ যোগ করা হয়, যা ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া এই রং শ্বাসকষ্টের রোগও বাড়াতে পারে। যার কারণে শ্বাসকষ্ট ও কাশিতে সমস্যা হতে পারে।
ত্বক সম্পর্কিত সমস্যা:
রাসায়নিক রং দিয়ে হোলি খেলে ফুসকুড়ি, জ্বালাপোড়া, চুলকানি এবং লালভাব হতে পারে। কিছু লোক রঙের অ্যালার্জির অভিযোগও করে, যার কারণে ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা যায়।