Health: মাথা চুলকানি মুক্তিতে ৮ সেরা ঘরোয়া প্রতিকার

অনলাইন ডেস্ক: বর্তমান আবহাওয়া আমাদের চুলের মতো অনির্দেশ্য। মাথার ত্বক এবং চুল আমাদের শরীরের সবচেয়ে দুর্বল অংশ৷ যা প্রতি মিনিটের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক পরিবর্তনের দ্বারা…

Home Remedies Itchy Scalp

অনলাইন ডেস্ক: বর্তমান আবহাওয়া আমাদের চুলের মতো অনির্দেশ্য। মাথার ত্বক এবং চুল আমাদের শরীরের সবচেয়ে দুর্বল অংশ৷ যা প্রতি মিনিটের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক পরিবর্তনের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।

আপনার মাথার চুলকানির পিছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে৷ একটি সাধারণ শুষ্ক মাথার ত্বক থেকে শুরু করে কিছু গুরুতর মাথার ত্বকের সংক্রমণ পর্যন্ত। কোন প্রতিকারের চেষ্টা করার আগে, সর্বদা অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।

   

মাথার ত্বকে চুলকানির কারণ: খুশকি, উকুন, ছত্রাক সংক্রমণ, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার, মানসিক চাপ বা উদ্বেগ, চুলে ব্যবহৃত পণ্যের এলার্জি প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।

মাথার ত্বকে চুলকানির প্রতিকার
১। আপেল সিডার ভিনেগার (Apple cider vinegar): আপেল সিডার ভিনেগারে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি খুশকির উত্পাদন হ্রাস করতে পারে৷ যা চুলকানি সৃষ্টি করে। আপেলে উপস্থিত ম্যালিক অ্যাসিড অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে কাজ করে৷ যা চুলকানি অনেকাংশে কমায়।

Home Remedies Itchy Scalp

২। নারকেল তেল (Organic coconut oil): জৈব নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে লৌরিক অ্যাসিড, একটি স্যাচুরেটেড ফ্যাট৷ যাদের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই অ্যাসিড ত্বককে দক্ষতার সঙ্গে নারকেল তেল শোষণ করতে সাহায্য করে এবং মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বন্ধ করে দেয়। নারকেল তেল মাথার ত্বকের শুষ্কতা কমায় এবং চুলকানি থেকে মুক্তি দেয়।

৩। অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিক প্রশান্তিকর প্রভাব দেয়৷ যা কেল্প শুষ্ক এবং চুলকানি মাথার ত্বককে চিকিত্সা করে। এটি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং জ্বালা কমায়।

৪। লেবুর রস (Salicylic acid): লেবুর রস অম্লীয়৷ যা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি জমে থাকা ময়লা এবং মৃত কোষে ভর্তি মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। অম্লীয় প্রকৃতির কারণে সর্বদা দই বা জলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন।

৫। পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রসে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে৷ যা চুল পাতলা করতে সাহায্য করে এবং চুলের ফলিকল পুষ্ট করে। এটি আপনার চুলকে ময়শ্চারাইজ করতে এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ যা আপনার মাথার ত্বককে সুস্থ, পরিষ্কার রাখে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

৬। নিম তেল: নিম তেলের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷যা প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

৭। চা গাছের তেল (Tea tree oil): চা গাছের তেলে রয়েছে টেরপেনস। এতে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ যা মাথার ত্বকের চুলকানি কমাতে কাজ করে। এটি মাথার ত্বকে ময়েশ্চারাইজ এবং পুষ্টি যোগায় এবং শুষ্কতা দূর করে।

৮। পেপারমিন্ট তেল (Peppermint oil): পেপারমিন্ট তেল ঐতিহ্যগতভাবে চুলকানি এবং খুশকির জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা মাথা চুলকানির অস্বস্থি থেকে মুক্তি দিতে পারে৷