প্রোটিন হল শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। নিরামিষভোজীদের ক্ষেত্রে প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা পূরণে বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন। ডঃ সিদ্ধান্ত ভার্গব (Dr. Siddhant Bhargava) জানিয়েছেন, নিরামিষভোজীরা ঘন টকদইয়ের (Hung Curd Benefits) সাহায্যে দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারেন। তিনি বলেন, সাধারণ টকদইতে প্রতি ১০০ গ্রামে ৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে, কিন্তু দৈনিক ২০ গ্রাম প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ৫০০ গ্রাম টকদই খেতে হবে, যা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়।
প্রোটিন-সমৃদ্ধ ঘন টকদই: সহজ এবং স্বাস্থ্যকর বিকল্প
ডঃ ভার্গব প্রোটিন চাহিদা পূরণে একটি কার্যকর সমাধান হিসেবে ঘন টকদইয়ের পরামর্শ দিয়েছেন, যা প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ১০ গ্রাম প্রোটিন প্রদান করে। তিনি বলেন, এটি খুব সহজে তৈরি করা যায়; সাধারণ টকদই একটি সুতির কাপড়ে রেখে ঝুলিয়ে দিতে হবে, যাতে ময় বেরিয়ে যায়। এভাবে টকদই আরও ঘন এবং ক্রিমি হয়, যা স্বাস্থ্যকর এবং খেতে সুস্বাদু।
ঘন টকদইয়ের সঙ্গে সুষম পুষ্টি
ঘন টকদইয়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এতে প্রোটিন বেশি থাকে যা নিরামিষভোজীদের জন্য আদর্শ। এছাড়াও, এর ঘনত্ব খাবারের মধ্যে টেক্সচার যোগ করে, যা সহজেই বিভিন্ন রেসিপিতে ব্যবহার করা যায়।
View this post on Instagram
ওয়েহের পুষ্টিগুণ ও ব্যবহার
টকদই থেকে ঝরানো ওয়েহ, অর্থাৎ তরল অংশটি ফেলে না দিয়ে এটি বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করা যেতে পারে। ডঃ ভার্গব বলেন, ওয়েহ দিয়ে স্যুপ, ডাল, বা রুটি বানানোর ময়দায় জল মেশালে খাবার পুষ্টিকর হয়। এটি টেকসই রান্নার মাধ্যমে পুষ্টির অপচয় রোধ করে এবং খাদ্যশক্তি বাড়ায়।
ঘরে তৈরি গ্রিক যোগার্টের মতো
বাজার থেকে কিনতে না গিয়ে ঘরেই গ্রিক যোগার্টের মতো ঘন টকদই বানানো যায়। এটি একদিকে স্বাস্থ্যকর, অন্যদিকে খরচ বাঁচায়।