Dol 2024: পরিবেশ-বান্ধব দোল উদযাপনে পথ কুকুরদের গায়ে রং দেওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন

প্রায় এসেই গিয়েছে দোল পূর্ণিমা (Dol Purnima)। সারা দেশের মানুষ অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন আগামী ২৫ মার্চের জন্য যেদিন সবথেকে বড় উৎসবের মধ্যে একটি ‘হোলি’ পালিত…

Street dog

প্রায় এসেই গিয়েছে দোল পূর্ণিমা (Dol Purnima)। সারা দেশের মানুষ অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন আগামী ২৫ মার্চের জন্য যেদিন সবথেকে বড় উৎসবের মধ্যে একটি ‘হোলি’ পালিত হবে। বাড়ি সাজানো থেকে নতুন জামা-কাপড় কেনা, সব কিছুর প্রস্তুতিই এখন তুঙ্গে।

দোল পূর্ণিমা এমন একটি উৎসব যা সারা দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য সুখ, সমৃদ্ধি এবং আশা নিয়ে আসে। দোল পূর্ণিমা ভগবান কৃষ্ণ এবং দেবী রাধার চিরন্তন প্রেম এবং মিলন উদযাপন করে। হোলি সারা দেশে অনেক আড়ম্বর ও জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়। হোলির একদিন আগে, ছোট হোলি বা হোলিকা দহন পালন করা হয়।

দোলের দিন একে অপরকে রঙে রাঙিয়ে দিয়েই উদযাপন হয় এই দিনটি। তবে এই উৎসবে মেতে ওঠার আগে এই কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। একটি পরিবেশ-বান্ধব দোল উদযাপনের ৪ টি টিপস মেনে চলা জরুরী। কী সেগুলো? জেনে নিন বিস্তারিত।

পরিবেশ-বান্ধব দোল উদযাপনে ৪ টি টিপস (Tips to celebrate an eco-friendly Holi)

১। প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করুন – ত্বকের র্যা শ বা রঙের খারাপ প্রভাব চোখে পড়া থেকে বাঁচতে ব্যবহার করুন হার্বাল কালার। বাড়িতেও রং বানিয়ে নিতে পারেন। হলুদ আবির কীভাবে বানাবেন? খুব সোজা, হলুদ গুঁড়ো এবং বেসন মিশিয়ে নিলেই তৈরি হলুদ আবির। লাল আবির? শুকনো জবা ফুলেউ কুঁড়ি গুঁড়িয়ে নিলেই তৈরি লাল আবির।

২। জল নষ্ট করবেন না – অনেক রাজ্যেই জল সংকট দেখা দিয়েছে। তাই দোল পূর্ণিমায় বা পরের দিনের হোলিতে জল নষ্ট না করাই ভাল। শুধু আবির দিয়েও দোল উৎসব পালন করা যায়। শুকনো হোলিও খেলা যেতে পারে।

৩। প্রাণীদের ক্ষতি করা থেকে এড়িয়ে চলুন – অনেকেরই প্রবণতা থাকে পাড়ার পথকুকুরদের গায়ে রঙ দিয়ে দেওয়া। শুধু কুকুর নয়, বিড়াল,গরু, ছাগলদের গায়ে অনেকেই রঙ দিয়ে দেন। এই রঙগুলো রাদের গা থেকে উঠতে বহু মাস লেগে যায় এবং এর ফলে তাদের অনেক ক্ষতি হয়। এছাড়াও দোলের দিনে জোরে গান-বাজনা চালানো থেকেও বিরত থাকুন, এতে এলাকার পশুদের কষ্ট হতে পারে, তারা ভয় পেতে পারে।

৪। প্লাস্টিক এড়িয়ে চলুন – অনেক সময় হোলি বা দোল উপলক্ষে প্লাস্টিকে মুড়ে স্ন্যাক্স একে অপরকে দেওয়া হয়। প্ল্যাস্টিক ব্যবহার বর্জন করে কলা পাতা বা খেজুর পাতা ব্যবহার করে পরিবেশ-বান্ধব হওয়া যেতে পারে।