মোবাইল টাওয়ার বসানোর টোপ (Fraud) দিয়ে আড়াই কোটি টাকার প্রতারণা (Fraud)। এই ঘটনায় গ্রেফতার ১৩ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, এয়ারপোর্ট থানার অন্তর্ভুক্ত কৈখালি লেনের এক বাসিন্দা সম্প্রতি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি অভিযোগপত্রে লেখেন, নিজেদের মোবাইল ফোন সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁকে ফোন করে কিছু ব্যক্তি জমিতে মোবাইল টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব দেয়। প্রচুর টাকা উপার্জন হবে এই প্রতিশ্রুতিও দেয়। এই প্রস্তাব বিশ্বাসযোগ্য করতে বেশ কিছু জাল নথিপত্রও দেয় তারা।
সেই সব নথিপত্রে মধ্যে ছিল – যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, নামী মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ইত্যাদির কাগজপত্রও। একই সঙ্গে প্রতারকদের তরফে শর্ত দেওয়া হয়, টাওয়ার বসানোর খরচ বাবদ বেশ কিছু টাকা দিতে হবে তাঁকে।
Income Tax Raid: কলকাতার ১০ জায়গায় আয়কর হানা, উদ্ধার কমপক্ষে ১ কোটি টাকা
কিন্তু সেই ‘বেশ কিছু’ যে কতটা হতে পারে, তা কল্পনাতীত। জমিতে টাওয়ার স্থাপনের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিজের জমি বিক্রি করে, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের কাছে ধার কre এবং ব্যক্তিগত অবসর তহবিল পর্যন্ত ভেঙে অর্থ যোগাড় করেন অভিযোগকারী। অর্থের মোট পরিমাণ ছিল – ২.৬ কোটি টাকা!
মামলার তদন্তকারী অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর শেখ তাজউদ্দিন এবং তাঁর সহকর্মীরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে একাধিক অভিযান চালিয়ে প্রমাণ সংগ্রহ করে ৯ মে ভাটিন্ডা, রাজারহাট থেকে গ্রেফতার করেন নিরুপম মুখার্জিকে। অভিযানে সহায়তা করে রাজারহাট থানা। জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়ো টাওয়ার স্থাপন চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সে।
Kolkata: সুদিন ফিরছে কলকাতার মানিকতলার বাসিন্দাদের, কী এমন নির্দেশ দিল উচ্চ-আদালত?
তার বয়ানের ভিত্তিতে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার অন্তর্গত বিবাদী বাগ এলাকায় একটি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ১২ জনকে। ধৃতদের কাজ ছিল প্রতারিতদের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাওয়া। ধৃতরা সকলেই অনূর্ধ্ব-ত্রিশ, তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু স্মার্ট ফোন এবং কি-প্যাড ফোন, অজস্র গ্রাহকের তথ্য, জাল নথিপত্র, এবং লেনদেনের রসিদ।