হাতে আর মাত্র এক মাস। তারপরেই শুরু হতে চলছে বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপুজো। কিন্তু চলতি বছরে পুজো একেবারে দোরগোড়ায় চলে এলেও সেই নিয়ে উৎসাহ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছেনা। এমনকি প্রতিবার পুজোর আগে দোকানে দোকানে সাধারণ মানুষের যে ভিড় চোখে পড়ে তাও এবার বিরল। কিন্তু সত্যিই কি পুজোর জন্য কেনাকাটা করছেন না টলি পাড়ার তারকারা? পুজোর ঠিক এক মাস আগে এই বিষয়ে কী বলছেন ছোট-বড় পর্দার তারকারা? চলতি বছরে কলকাতা পুজোর চেনা ছন্দ আর সেভাবে ফুটে উঠছে না।
এর জন্য আরজি করের (RG Kar Protest) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা যে জড়িত সেটা এখন সকলেরই জানা। প্রায় এক মাস হতে চলল কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের নাম সামনে আসেনি। আর তাই এই নৃশংস ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবিতে চারিদিকে পথে নামছে বিভিন্ন পেশার মানুষজন। তবে এসবের মধ্যেই সোমবার উৎসবে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর দুর্গাপুজোর অনেক মাস আগে থেকেই পুজোর জন্য কেনাকাটা থেকে শুরু করে পুজো নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দেয় মানুষ।
কিন্তু এবারে পুজোর সেই আমেজটা অন্যবারের তুলনায় অনেকটাই ফিকে। তাহলে চলতি বছরে আরজি কর কাণ্ডের জেরে কি পুজো থেকে পিছপা হচ্ছেন টলি পাড়ার ছোট-বড় পর্দার তারকারা? নাকি ধীরে ধীরে পুজোর আমেজে ফিরছেন তারকারা? এক সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত জানিয়েছেন, “এমনিতেই আজকাল আমি আর পুজোর জন্য আলাদা করে কিছু কিনি না। পেশাগত কারণে সারা বছরই এই সব চলতে থাকে। তবে, পরিবারের জন্য তো কেনাকাটা করতেই হয়। এবার আমার বাবা, মা-ও নিষেধ করেছেন ওঁদের জন্য কিছু কিনতে। সত্যিই এবার আমাদের পরিবারে পুজো নেই।”
পুজোর কেনাকাটা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায় বলেছেন, “এক সময় শুধু পয়লা বৈশাখ আর পুজোয় জামাকাপড় কেনা হত সারা বছরের জন্য। এখন সারা বছর কেনাকাটা হয়। কিন্তু অভ্যাসবশত পুজোর কেনাকাটা হয়। এবার হবে না। কেনাকাটা করার মতো মানসিক অবস্থাই নেই।” অন্যদিকে অভিনেত্রী সঙ্ঘশ্রী সিংহ জানিয়েছেন, “খালি পেটে প্রতিবাদ হয় না। সত্যিই আমাদের সকলের ওই ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কথাও ভাবা উচিত যিনি কাচের চুড়ি বিক্রি করেন, টিপের পাতা বিক্রি করেন। এই দুটো মাসের উপর নির্ভর করে তাঁদের বাকি দশটা মাস। ফলে খানিকটা কেনাকাটা করব।”
এর পাশাপাশি উষসী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “একদম কেনাকাটা করার ইচ্ছে নেই। এমনকি পুজোর সময় একটা বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বহুদিন আগে নির্ধারিত। জানি না, সেখানেও যাব কিনা। মানসিকতাই নেই। সর্বত্র স্থিতাবস্থা ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তবে পুজোর এখনও একমাস বাকি। এই ক’দিনে পরিস্থিতি কী হবে, জানি না। যেমন থাকবে, সেই অনুযায়ী কাজ করব।” এদিকে অভিনেতা সৌরভ দাসও একই কথা বলে জানিয়েছেন, “পুজো হয়তো হবে। কিন্তু যতক্ষণ না ন্যায়বিচার হচ্ছে, ততক্ষণ তো প্রতিবাদ চলবেই। কেনাকাটার কথা সত্যিই এখনও মাথায় আসেনি।”