স্কুলে কেন ১০০ শতাংশ হাজিরা, হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

১০০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছে স্কুল (School)। সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে এবার হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা (PIL)। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এই মামলাটি করেছেন…

১০০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছে স্কুল (School)। সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে এবার হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা (PIL)। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এই মামলাটি করেছেন আইনজীবী ঋজু ঘোষাল। তিনি আবেদন পত্রে লিখেছেন, ১৫ বছর নীচের ছাত্র-ছাত্রীদের কী হবে। সশরীরে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি ভার্চুয়াল ক্লাসের ব্যবস্থা রাখা হোক।

Advertisements

অতিমারির আবহে বৃহস্পতিবার থেকে চেনা ছন্দে ফিরেছে স্কুল। সকল কোভিড বিধি মাথায় রেখে স্কুল, কলেজে জোর দেওয়া হয়েছে সচেতনতায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই ক্লাসরুম থেকে স্কুলবাস, স্যানিটাইজ করা হয়েছে সব। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, সোম থেকে শনি ক্লাস হবে। পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছতে হবে ক্লাস শুরুর আধঘণ্টা আগে। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সবাইকে স্কুলে মাস্ক পরে থাকতে হবে। সবরকম কোভিড বিধি মেনে আজ রাজ্যে ফের খুলছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়ারা স্কুলে গিয়ে ক্লাস করবে। অন্যদিকে, পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু হচ্ছে, পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচী। প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের আপাতত বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করতে হবে।

   

কয়েকটি স্কুল ১০০ শতাংশ হাজিরার নীতি নিয়েছে। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য টিকাকরণ চালু হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই আইনজীবীর আবেদন, এমন অনেকে পড়ুয়া রয়েছে, বয়স ১৫ বছর না হলেও তারা অষ্টম, নবম কিংবা দশম শ্রেণিতে পড়ে। স্বভাবতই তারা টিকা পায়নি। এই অবস্থায় তারা স্কুলে গেলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তাই টিকা না দেওয়া পর্যন্ত তাদের অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করুক সরকার।