আদালতে ঝুলে রইল শেখ সুফিয়ান-মামলা

‘আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবো’। শেখ সুফিয়ানের মামলা সংক্রান্ত শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি। শেখ সুফিয়ান বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এ নন্দীগ্রামের (Nandigram) তৃণমূল কংগ্রেসের…

‘আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবো’। শেখ সুফিয়ানের মামলা সংক্রান্ত শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি।

শেখ সুফিয়ান বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এ নন্দীগ্রামের (Nandigram) তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইলেকশন এজেন্ট ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। হাইকোর্টের অবস্থানে বেগতিক দেখে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন সুফিয়ান। আগাম জামিনের আবেদন করেছেন তিনি।

তৃণমূল কংগ্রেসের শেখ সুফিয়ানের পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বাল। বিচারপতির এজলাসে তিনি দাবি করেছেন যে তাঁর মক্কেল রাজনৈতিক কারণে বিপাকে ফেলা হচ্ছে। চার্জশীটে শেখ সুফিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়নি। সুফিয়ানের বিরুদ্ধে যে তথ্য প্রদর্শন করা হয়েছে তা বিকৃত।

নন্দীগ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয়েছিল এক বিজেপি কর্মীর। হত্যার পিছনে সুফিয়ানের মাথা রয়েছে বলে অনুমান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের। সিবিআই-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৫ মে তারিখে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পরে আবেদনকারী আসামীরা যে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছিল তা প্রত্যক্ষদর্শীরা চিহ্নিত করেছেন। তাদের অনুমান ধর্মের রঙ দেখা হয়েছে ভোটব্যাংকে। যে হিন্দু ভোটাররা তৃণমূলের বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে রচিত হয়েছিল ষড়যন্ত্র।

সিবিআই-এর দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে নন্দীগ্রামে ইচ্ছা করে নন্দীগ্রামে অশান্তির সৃষ্টি করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে তাদের হাতে। যা শেখ সুফিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং অপরাধ প্রমাণের পক্ষে যথেষ্ট। সর্বপরি গ্রেফতারির নির্দেশ দিক আদালত।

অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের নিরাপত্তা নিশ্চিত কর‍তে চেয়েছিল আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে সুফিয়ার অন্তর্বর্তী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য দেওয়া হয়েছিল নির্দেশ।

২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গা থেকে আসতে শুরু করেছে হিংসার খবর। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যেও উঠে এসেছিল ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে হিংসার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখনও তদন্তে লেগে রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। শেখ সুফিয়ানকে সন্দেহ করছে তারা।

মামলার শুনানিতে দু’পক্ষের যুক্তি, দাবি শোনার পর সুপ্রিম কোর্টের জাস্টিস এল নাগেশ্বরা রাও জানিয়েছেন, ‘আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবো।’