নিউজ ডেস্ক, জেনেভা: মারণ ভাইরাস করোনার হাত থেকে মুক্তি মিলবে কবে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস জানিয়েছেন, বিশ্ববাসীর হাতেই রয়েছে করোনা-মুক্তির চাবিকাঠি। বিশ্বের সমস্ত দেশের নাগরিকরা যখন চাইবেন, তখনই শেষ হবে করোনার এই করাল কাল।
করোনার গ্রাসে গোটা বিশ্ব। দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে মারণ ভাইরাস। এখনও একাধিক দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। করোনায় মৃত্যু মিছিল দেখছে একের পর এক দেশ। মারণ এই সংক্রমণ থেকে মুক্তি মিলবে কবে?বিশ্বজুড়ে এই একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে।
গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনার ডেল্টা স্ট্রেন। ভাইরাসের এই ধরনই এখন মাথাব্যথা বিশ্ববাসীর কাছে। অত্যন্ত সংক্রামক এই ডেল্টা স্ট্রেন। দ্রুত একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ঢুকে পড়তে পারে এই স্ট্রেন। এমনকী মানবদেহে তৈরি টিকার প্রাচীরও সহজেই ভেঙে ফেলতে সক্ষম করোনার এই নয়া ধরন।
বিশ্বের কমপক্ষে ১৩২ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার ডেল্টা স্ট্রেন। একের পর এক দেশ সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন, করোনার টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়া থাকলে মাস্ক পরার দরকার নেই। কিন্তু করোনার ডেল্টা স্ট্রেনের আতঙ্কে তিনিও অবস্থান বদলেছেন। দেশবাসীকে আবারও মাস্ক পরতে জোর দিতে বলছেন মার্কিন প্রশাসন।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের মতে, সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই একমাত্র কর্তব্য। করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। এছাড়াও দ্রুতগতিতে টিকাকরণ, সংক্রমিতকে চিহ্নিত করে দ্রুত তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা। করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে এই বিষয়গুলোর ওপর জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।